আসামীর ফাঁসিকে ধাপ্পাবাজি বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘ধর্ষনের মতো এতো বড় অপরাধ যারা করেছে তাদের দুই মিনিটের ফাঁসি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজকে আপনার মেয়েকে যদি কেউ নিয়ে যেতো তাহলে কি দুই মিনিটের ফাঁসি দিয়ে আপনার কান্না থামতো। আমার কান্না তো থামতো না।’
শনিবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
“নারীর উপর পৈশাচিক নির্যাতন বন্ধ কর, নারী ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবীতে এবং ” ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদকারী বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরনে ‘আট স্তম্ভ‘ ভেঙ্গে ফেলায় – প্রতিবাদ সমাবেশ ও পদযাত্রা (প্রেস ক্লাব হতে শহিদ মিনার পর্যন্ত) অনুষ্ঠিত হয়।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন এবং পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. আসিফ নজরুল, যুনায়েদ সাকী, প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা আলম মিন্টু, গনদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী,মুক্তিযোদ্ধা ফরিদউদ্দিন প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আক্তার হোসেন।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর (খোলা জীপে ) নেতৃত্বে উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ আলোচনা শেষে প্রেস ক্লাব হতে শহীদ মিনারে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনাদের বাড়ি ও প্রেসিডেন্ট হাউজ থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করেন। আপনাদের জীবনের এতো ভয় কিসের। ভয় যদি থাকে তবে সামরিক বাহিনী দিয়ে পাহারা দেওয়ান। এই পুলিশ বাহিনীকে তার দেশের শৃঙ্খলা নিয়োগে রাখেন। প্রতিটি বাসে, রেলপথে পুলিশ দেন। রাস্তাঘাটে পুলিশ দেন। প্রতিটি গার্লস স্কুলে মেয়েদের ক্যারাতি শেখান। ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষার পরিবর্তন আনেন। নয়তো একদিন দুইদিনের আন্দোলনে সরকারের পতন হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে ভারতীয় লোকদের দ্বারা প্ররোচিত না হয়ে চলার আহব্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি যদি সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করেন তার কন্যা হিসেবে আপনার কাজ হবে একটা সত্যিকার নির্বাচন দেয়া। মধ্যবর্তী নির্বাচন দেওয়া। নয়তো ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না। আপনি অনুগ্রহ করে ভারতীয়দের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে চলাফেরা করবেন না।
জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে আপনারা যদি মনে করেন এ আন্দোলন থেমে যাবে, এটা ভুল। থামলেও আপনি শান্তি পাবেন না। বঙ্গবন্ধু কবরে বসে শান্তি পাবে না। উনি নিশ্চয়ই দুঃখ পাচ্ছেন আজকের বাংলাদেশ দেখে। আজকে আমাদের সবার দ্বায়িত্ব আপনাকে অনুরোধ করা। আপনি রাস্তায় নেমে আসেন স্বচোক্ষে দেখেন। ডিজিটাল বাদ দিয়ে আসেন এখানে, আসেন আমাদের সামনে এসে দাড়ান। তবেই জাতি বুঝবে আপনি এ জাতীয় সমস্যা সমাধান করতে চান।
তিনি আরও বলেন, আপনারা ফাঁসির আন্দোলন না করে ৫০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দাবি জানান। সম্রাটের মতো কারাদণ্ড না। আজকে পিজি হাসপাতালে ১১ মাস তারা ভিআইপি কেবিনে কাটায়। এ ধরনের ছলনা নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার মঙ্গল চাই, আপনার সুশাসন চাই, আমরা চাই আপনার মেয়েটা ধর্ষিত না হয়। তা যে হবে না তার কোনো নিশ্চিয়তা নাই। আমি চাই, আমার মেয়েও যেন ধর্ষিতা না হয়।