Lead Newsকরোনাভাইরাসস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

ফাইজারের ভ্যাকসিন নিয়েও আসছে সুখবর

মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেক যৌথভাবে কোভিড-১৯ এর যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, মানবদেহে প্রয়োগের পর তার আশাব্যঞ্জক ফল আসতে শুরু করেছে। ভ্যাকসিনটি নিরাপদ জানিয়ে বলা হচ্ছে, রোগীর দেহে তা ইতিবাচক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছে।

কোম্পানি দুটি জানিয়েছে, তাদের হাতে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনটি মানবদেহে টি-সেলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, সবচেয়ে মারাত্মক করোনাভাইরাসে যারা আক্রান্ত হন তাদের শরীরে টি-সেল নামে রোগ প্রতিরোধী সেলের সংখ্যা থাকে খুবই কম।

জার্মানিতে ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ভাইরাসটি পুশ করে যে ট্রায়াল চালানো হয়েছে, সেখান থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে এসব আশার খবর জানা যাচ্ছে। ট্রায়ালে দেখা যাচ্ছে, দুই ডোজ নেয়া স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক ধাপের পরীক্ষাতেও ইতিবাচক ফল পাওয়া গিয়েছিল।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে দেড় শতাধিক সম্ভাব্য ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এর মধ্যে ২৩টি ভ্যাকসিন মানবদেহে প্রয়োগ করে, তা কার্যকর ও নিরাপদ কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ও যুক্তরাজ্যের অ্যাস্ট্রজেনেকাও (অক্সফোর্ডের তৈরি) রয়েছে।

তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে অক্সফোর্ড। আজ সোমবার ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রাথমিক ফলাফলে বলা হচ্ছে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি মানবদেহে প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপদ বলে বোধ হচ্ছে। তবে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা প্রয়োজন।

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে যে, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি মানুষের দেহে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ও শ্বেতরক্তকণিকা তৈরিতে সহায়তা করে। এর ফলে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার কৌশল বুঝতে পারে। এই ফলাফল অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =

Back to top button