‘ফিল্ড হাসপাতাল’ প্রস্তুত রাখার পরামর্শ বিএসএমএমইউ ভিসির
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি চলছে। এ অবস্থায় করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ তৈরির যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে আক্রান্তদের চিকিৎসায় শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে হাসপাতালগুলোতে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিশ্চিত করার কথা বলেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। উপাচার্য বলেন, ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশের ৪০টি জেলায় রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। সাধারণ শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ বেড বৃদ্ধির পরেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ইউনিটের প্রায় সকল বেডেই বর্তমানে রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ অবস্থায় ‘ফিল্ড হাসপাতাল’ তৈরির যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে ঘরবন্দি থাকার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের ও অপরের জীবন রক্ষার্থে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা অত্যন্ত সময় উপযোগী। করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঘরবন্দি থাকার বিকল্প নাই।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কমপক্ষে দুই সপ্তাহ ঘরের বাইরে একেবারেই বের হওয়া উচিত হবে না। ঘরবন্দি থাকাই সর্বোত্তম পন্থা। বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হলে অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়াসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধিমালা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন বিধিমালা’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আজিজ তাহের খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। কর্মশালায় কেন্দ্রীয় ক্রয় কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কমিটির সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই ধরণের কর্মশালা আর্থিক সকল নিয়ম ও বিধি সঠিকভাবে অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে ক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ ও বিধিমালা-২০০৮’ শীর্ষক কর্মশালা ক্রয়সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচলিত আইন ও নিয়মকানুন, আর্থিক বিধি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা ও জ্ঞানলাভ এবং ক্রয় সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিক রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।