করোনাভাইরাসস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে করোনাভাইরাস গবেষণা ইউনিট চালু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের হাইওয়েল দা ইউনিভার্সিটি হেলথ বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের আইসিইউতে ৪টি বেড নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে একটি গবেষণা ইউনিট চালু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের অধ্যাপক সামাদ সেমিনার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে চালুকৃত গবেষণা ইউনিটের উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘এটি উদ্বোধনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও সেবাদানকারী চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে নব দিগন্তের দার উন্মোচিত হবে বলে আমার বিশ্বাস। যেকোনো ভাইরাস সংক্রমণের পর ভাইরাল লোড ও ভাইরাসটির এগ্রেসিভনেসের উপর নির্ভর করে রোগীর জীবন কতটা সঙ্কটাপন্ন। আশা করি, এসকল বিষয় নির্ণয়েও এই গবেষণা ইউনিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রাথমিকভাবে ৫০ জন রোগীর উপর গবেষণা কর্মটি পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসজনিত বিষয়ে যেসকল গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তা সম্পন্ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ 

এ সময় করোনা কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ‘শুধু সেমিনার, সভা, আলোচনা সভা নয়। ফিভার ক্লিনিক, করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরি এবং গত ৪ জুলাই ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টার চালু করা হয়েছে। শুধুমাত্র করোনা সেন্টারেই এ পর্যন্ত ৭৫৮ জন রোগী চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিভার ক্লিনিকে গতকাল ২৯ জুলাই পর্যন্ত ৩০ হজার ৬৩১ জন রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং বেতার ভবনে চালুকৃত করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ২৪০ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও রোগীদের সুবিধার্থে বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ চালু রাখার পাশাপাশি হেলথ লাইন, বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন চালু করা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান গবেষক এ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান বলেছেন, সিটেক্স ডব্লিউজি সেভেন সিপাপ ডিভাইস নতুন ধরণের মেশিন করোনা আক্রান্ত রোগীদের থেকে করোনাভাইরাস বাইরে বের হওয়া কমিয়ে দিবে। এই যন্ত্রে কয়েকটি ফিল্টার ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে এর কার্যকারিতার বিষয়ে যথাযথ ফলাফল জানা যাবে। 

গবেষণা ইউনিটে প্রধান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম আখতারুজ্জামান। গবেষকদের মধ্যে আরওে রয়েছেন অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক কেয়ার লিউস, ডা. রিজ থমাস এবং ডা. সোহেল মুসা মিঠু।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + seventeen =

Back to top button