Lead Newsপ্রকৃতি ও জলবায়ূ

বনভূমি ধ্বংস বন্ধে বাংলাদেশের পদক্ষেপে হতাশ টিআইবি

যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে এবারের কপ-২৬ সম্মেলনে বনভূমি ধ্বংস বন্ধে একমত পোষণ করেছে বিশ্বের ১২৪টি দেশ। কিন্তু এ ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের সম্মিলিত ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি।

৩ নভেম্বর, এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বৈশ্বিক এ সংস্থাটির বাংলাদেশ শাখা।

বিবৃতিতে টিআইবি আন্তর্জাতিক এই ঘোষণার সঙ্গে অবিলম্বে একাত্মতা প্রকাশ এবং এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধে এবং বন রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধ করার বিষয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিশ্বের ১২৪টি দেশ। কিন্তু বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ না করা চূড়ান্ত হতাশাজনক। ব্রাজিলসহ আফ্রিকার অনেক দেশ এই ঘোষণায় যুক্ত হয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শীর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলেও বাংলাদেশের সাড়া না দেয়া অবিশ্বাস্য!

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথা এফএও-এর হিসাব বলছে, বার্ষিক বৈশ্বিক গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ বন উজাড় হয় বাংলাদেশে, যা ২ দশমিক ৬ শতাংশ। কেবল বিগত ১৭ বছরেই দেশের প্রায় ৬৬ বর্গকিলোমিটার গ্রীষ্মমন্ডলীয় রেইন ফরেস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। অপরদিকে বন বিভাগের হিসাব বলছে, সারাদেশে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৪৫৩ একর বনভূমি দখল হয়ে গেছে, যার মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি।

টিআইবি বলছে, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি নানা অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণে প্রাকৃতিক সুরক্ষাবলয় হিসেবে পরিচিত সুন্দরবনও এখন হুমকির মুখে। এমন কঠিন বাস্তবতায় বৈশ্বিক এ ঘোষণায় অবিলম্বে বাংলাদেশের সম্পৃক্ত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × three =

Back to top button