‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বরিশাল নগরের তিনটি স্থানকে। বরিশালের আঞ্চলিক পরিবেশ অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দেয়।
এই তিন স্থান হলো বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয়–সংলগ্ন স্থান।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারি প্রকল্পের আওতায় বরিশাল নগরের তিনটি প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন স্থানকে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনটি স্থান নীরব এলাকা ঘোষণা হওয়ায় এখন থেকে সেখানে শব্দদূষণ ও যানবাহনের হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কারাদণ্ড, জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।”
নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে গতকাল বিকেলে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে অংশ নেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. তোতা মিয়া, সহকারী বায়োকেমিস্ট মো. মুনতাছির রহমান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) বিভাগীয় সমন্বয়কারী মো. রফিকুল আলম। এতে সহায়তা করে জেলা তথ্য অফিস।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া বলেন, “শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুসারে নীরব এলাকায় যানবাহন চলাচলকালে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ এবং তা অমান্য করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীরা এক মাস কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।