রাজনীতি

বাংলাদেশ বিশেষ কোনো দলের হতে পারে নাঃ নজরুল ইসলাম

বাংলাদেশকে যেভাবে দলীয় দেশে পরিণত করা হয়েছে এর থেকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। এটা কোনো বিশেষ দলের দেশ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত ‘একটি ভোরের প্রতিক্ষায়’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের নাগরিকদের বানাতে হবে। সেরকম একটা দেশ বানাতে হলে জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়ার আদর্শে উদ্দীপ্ত হয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে লড়াই করতে হবে।’

বইটি সংকলন করেছেন লন্ডন প্রবাসী ডা. আব্দুল আজিজ ও সায়েক এম রহমান। বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ছাড়াও অনুষ্ঠানে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকাকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) ৭২’র সংবিধানের কথা বলেন। ৭২’র সংবিধানে জরুরি অবস্থা জারির কোনো বিধান ছিল না। সে বিধান তারাই সংবিধানে যুক্ত করেছে এবং তারাই প্রথম জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তারা আজকে ইনডেমনিটির কথা বলে, ইনডেমনিটিতো তারাই প্রথম রক্ষীবাহিনীকে দায় মুক্তি দেওয়ার জন্য করেছিল।

তিনি বলেন, তথাকথিত এক/এগারো সরকার, যে সরকারের সাংবিধানিক কোনো ভিত্তি ছিল না। একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৯০দিনের মধ্যে নির্বাচন করবে, সেই ৯০ দিন প্রায় শেষ, সেই সময় নতুন একটা সরকার, তারা ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে পারবে না, এটা জানা সত্ত্বেও তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কে গিয়েছিল। বিএনপিতো যায়নি, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সাথীরা গিয়েছিল। সেই সরকার যে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল, সেই জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে নির্বাচন করতে রাজি ছিল আওয়ামী লীগ এবং তাদের জোটের সাথীরা। একমাত্র খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন যে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার না করলে আমি নির্বাচনে যাব না। তার দাবির মুখে জরুরি অবস্থা বাতিল করতে হয়েছে, মানুষ তার গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে।

তিনি বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার বার বার ফিরিয়ে দিয়েছে বিএনপি। এবারও ইনশাল্লাহ ফিরিয়ে দেবে। একটু আগে আলাল বলেছে, বিএনপির লোকতো বটেই এমনকি আওয়ামী লীগের লোকও এখন ভোট দিতে পারে না। হয় ভোটই হয় না, ৩০০র মধ্যে ১৫৩ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যায়, না হলে ভোটের আগের রাতেই ভোট শেষ হয়ে যায়। ভোট দেওয়ার কোনো দরকার নেই। এই হলো গণতন্ত্রের লেবাসধারী আওয়ামী লীগের চরিত্র। এক সময় তারা সব দলকে বাতিল করে দিয়েছিল, এখন শুধু আইন করে দল বাতিল করে নাই, কিন্তু কোনো দলকে কাজ করতে দেওয়া হয় না।

জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উপদেষ্টা ফয়সল মাহমুদ ফয়জীর সভাপতিত্বে ও মঞ্জুর হোসেন ইসার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, ছাত্রদল নেতা ইসহাক সরকার, মানবাধিকার সমিতির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম সেকুল প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + one =

Back to top button