খুলনায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পুলিশের বেপরোয়া লাঠিচার্জে যুবদল-ছাত্রদলের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল সোয়া ৪টায় মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহতেশামুল হক শাওন।
পুলিশের লাঠিচার্জে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, অনিক আহমেদ, হাসান ফকির, সৈয়দ ইমরান, এমএম ইউসুফ, মো. ইসমাইল হোসেন জিসান, মো. আশরাফুল নাহিদ, মো. ইসমাইল হোসেন, মো. শামসাদ আবিদ, মারজান হোসাইন পরশ, আব্দুস সালাম, মেহেদী হাসান আহত হন। এদের মধ্যে ইবাদুল হক রুবায়েদ ও মো. তাজিম বিশ্বাসের হাত ভেঙে যায়।
জানা যায়, ডিজেল, কেরোসিনসহ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বাস ও লঞ্চ ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস সৃষ্টির প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসা মিছিলে পুলিশের হামলা ও লাঠিচার্জ করেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
লাঠিচার্জের পর দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপি নেতা শফিকুল আলম তুহিন। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুর্শিদ কামাল, এহতেশামুল হক শাওন, সুলতান মাহমুদ, শেখ সাদী, আজিজা খানম এলিজা, কাজী মিজানুর রহমান, মাসুদ পারভেজ বাবু প্রমুখ।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বুধবার রাতে জানান, মিছিলে কোনো লাঠিচার্জ করা হয়নি। তারা মিছিলের অনুমতি না নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিল। নিজেরা নিজেরা একজন আরেকজনের ওপর পড়েছে। কোনো মামলা বা আটক নেই।