স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, রাজশাহীর চারঘাট এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি যা আলাপের মাধ্যমে সুরাহা করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন উপলক্ষে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবির তথ্যমতে পতাকা বৈঠকের অপেক্ষা না করে তারা (বিএসএফ) বাংলাদেশের সীমানায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে আটক জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল। আর তখন গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে একজন বিএসএফ সদস্য মারা যান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন।
‘আমরা যতটুকু জেনেছি, বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএসফকে পতাকা বৈঠকের কথা জানালেও বিএসএসএফ তাতে রাজি না হয়ে জোর করে জেলেদের নিয়ে চলে যাচ্ছিল। এ সময়ই উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে,’ বলেন তিনি।
আমাদের নদ-নদীতে ইলিশসহ মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিজিবি ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথ টহল দিচ্ছিল, বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলাপের মাধ্যমে এর একটা সুরাহা হবে। বিজিবি মহাপরিচালক ও বিএসএফের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।’
বৃহস্পতিবার বিজিবি জানিয়েছে, রাজশাহীর চারঘাট সীমান্ত এলাকার পদ্মা নদীর শাহারিয়াঘাট বালুঘাটে বাংলাদেশের ৬৫০ গজ অভ্যন্তরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
এক বিবৃতিতে বিজিবি জানিয়েছে, বিএসএফের জোয়ানদের আক্রমণে আত্মরক্ষার জন্য বিজিবির সদস্যরা গুলি চালালে এক জোয়ান নিহত হন।
বিজিবি জানায়, পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার অপরাধে আটকৃকত এক ভারতীয় জেলেকে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছে।
‘বিএসএফ সদস্যরা ভারতের দিকে ফিরে যাওয়ার সময় প্রথম গুলি ছোড়ে,’ বলে বিজিবি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং এ ঘটনায় সকলেই শোকাহত।