একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর) উপলক্ষে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হচ্ছে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। সারা দেশের পাশাপাশি নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। দিনটি উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সাধারণত প্রতি বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে জাতির এই সূর্যসন্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবার তারা উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে আলাদা আলাদা বাণীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।
সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অন্য সময়ের তুলনায় এবার মানুষ কিছুটা কম দেখা গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
স্বাধীনতার ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক কর্মীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা। একদিন পর রায়েরবাজারের ইটখোলা, মিরপুর বধ্যভূমিসহ বিভিন্ন জায়গায় বুদ্ধিজীবীদের হাত-পা বাধা ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাপিডিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী, একাত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ শিক্ষাবিদ, ১৩ সাংবাদিক, ৪৯ চিকিৎসক, ৪২ আইনজীবী এবং ১৬ শিল্পী, সাহিত্যিক ও প্রকৌশলী।