বিশ্বে করোনাভাইরাসে ২৪ ঘন্টায় আরও ৫ হাজার মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে ৫ হাজার ৩২৩ জন মানুষ মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৯৯ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৯ লাখ ৯ হাজার ৬১৮ জনে। আর আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৫ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। এই সময়ে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৪২৩ জন এবং মারা গেছেন ১৪৮ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৪ লাখ ৪ হাজার ৪৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫২৭ জন মারা গেছেন।
গত এক দিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কমেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯১০ জন এবং মারা গেছেন ৪৬৪ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১ হাজার ২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৩ হাজার ২০৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৩১৫ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৭২ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৭২৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ১৯৯ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৬ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩ জন দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬০ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৫২ হাজার ১৫৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।