প্যারেন্টিং

বুদ্ধি বাড়াতে যা খাওয়া প্রয়োজন

বুদ্ধিমান হতে গেলে দরকার মস্তিষ্কের পুষ্টি। তাই বুদ্ধি বাড়াতে দরকার পুষ্টিকর খাবার। যেহেতু বুদ্ধিই বল বা শক্তি সেহেতু সঠিক হেলদি ডায়েট আপনার মস্তিষ্ককে উর্বর করতে পারে।

এক্ষেত্রে, শুধুমাত্র হেলথ ড্রিংকেই আটকে থাকলে চলবে না। দরকার অন্য কিছুর। তাই চলুন জেনে নিই, বুদ্ধির বীজকে কীভাবে বড় বৃক্ষে পরিণত করা যায়-

পাতাওয়ালা সবজি: সবুজ রঙের পাতাওয়ালা সবজি শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্ককেও পুষ্ট করে। প্রতিদিন সবুজ পাতাওয়ালা সবজি খেলে স্মৃতি বিলুপ্তির মতো ঘটনা ঘটবে না। বিশেষকরে পালং শাক, ব্রকোলি খাওয়া খুব উপকারি। কারণ, এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফলিট, বিটা-ক্যারোটিন ও ভিটামিন- সি।

ডার্ক চকোলেট: বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন- ডার্ক চকোলেট ব্রেনের জন্য খুব উপকারী। এর ফ্ল্যাবনয়েড উপাদান কগনিটিভ স্কিলের উন্নতি ঘটায়। এছাড়া মস্তিষ্কে নিউরোন তৈরি করে যা নতুন বিষয় মনে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে ডার্ক চকোলেট।

ডিম: সুস্বাস্থের জন্য সপ্তাহে ছয়টি ডিম খাওয়া খুব জরুরি। প্রতিদিন খাবার প্লেটে একটি করে সেদ্ধ ডিম রাখা জরুরী। তবে ডিমের শুধু সাদা অংশ খেলেই হবেনা। খেতে হবে ডিমের কুসুমও। এরমধ্যে থাকে আয়রন। এই উপাদান লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। যা, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন বি-১২ ও আয়োডিন স্মৃতি শক্তি জোরদার করে। তাই নিজেকে সজাগ ও মনযোগী করে তুলতে চাইলে রোজ পাতে একটি করে ডিম রাখুন।

তৈলাক্ত মাছ: স্যামন, ম্যাকরেল, সারডিন, কডের মতো সামুদ্রিক মাছে আছে প্রচুর ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ক, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখে। সপ্তাহে দু’দিন এই রকম মাছ খেতে পারলে মস্তিষ্ক ঘটিত সমস্যা কম হবে। ব্রেনও পুষ্ট হবে।

গ্রিন টি: মস্তিষ্কের প্রায় ৭০ শতাংশ জুড়ে পানি থাকে। এই পানি ব্রেণকে আদ্র রাখে বলেই ব্রেণ এত নিখুঁত কাজ করে। তাই যখনই ক্লান্ত লাগবে, এক কাপ গ্রিন টি পান করে নিন। নিমেষে চনমনে হয়ে উঠবেন। সেইসঙ্গে স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটবে। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বয়সকালে ডিমেনশিয়া না হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + fourteen =

Back to top button