ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বেক্সিমকোর গুদামে রাখা হয়েছে
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৫০ লাখ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের গুদামে পৌঁছেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত ৫০ লাখ টিকার প্রথম চালান টি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পুলিশ প্রহরায় বেক্সিমকোর বিশেষায়িত ভ্যানে করে আজ সোমবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে বেক্সিমকোর নিজস্ব ওয়্যারহাউসে নেওয়া হয়।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা জানান, টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় ১৫ মিলিয়ন (ভ্যাকসিন) ভায়াল ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট দুইটি ওয়্যারহাউজ রয়েছে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় এ ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে হয়। বিশেষায়িত এ ওয়্যারহাউজে নির্ধারিত তাপমাত্রাসহ বিশেষ পরিবেশ মেনটেইন করা হচ্ছে। শুধু ওয়্যারহাউজে নয়, পরিবহনের সময় ভ্যানেও ওই পরিবেশ ও তাপমাত্রা বজায় রাখা হচ্ছে। এখানে ভ্যাকসিনের মান নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সকল ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের যে ল্যাবরেটরি আছে সেখানে রিলিজ সার্টিফিকেটের জন্য এ ভ্যাকসিনের কিছু স্যাম্পলসহ ডকুমেন্ট সাবমিট করা। আজ বা আগামীকাল আমরা এসব জমা দেব। ল্যাবে জমা দেওয়ার পর তারা তা রিলিজ করে দিলে ডিজি হেলথ অফিসের সরবরাহ করা তালিকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক ভ্যাকসিন ৬৪ জেলায় আমাদের ফ্রিজার ভ্যানে করে পৌঁছে দেওয়া হবে।
চার দিন আগে ভারতের উপহার হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতীয় সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি করোনা টিকার ২০ লাখ ডোজ পায় বাংলাদেশ। আর আজ সোমবার সেরাম থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ দেশে আসে।
আগামী বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নার্সদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা জানান।
বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯ টিকার (ভ্যাকসিন) তিন কোটি ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টিকা আজ বাংলাদেশে এলো।