ভারতে খুলে দেওয়া হলো মসজিদ ও মন্দির
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভারতে যখন প্রতিদিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে তখন দীর্ঘ আড়াই মাসেরও বেশি সময় পর ভারতে খুলে দেওয়া হলো ধর্মীয় উপাসনালয়।
আজ সোমবার থেকে দেশটির হোটেল, শপিং মল ও রেস্তোরাঁ খোলার পাশাপাশি মসজিদ ও মন্দিরগুলো খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য মন্দির ও মসজিদে যাওয়ার ক্ষেত্রে এবং শপিংমলে কেনাকাটার ক্ষেত্রে নানা নতুন বিধি-নিষেধ চালু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত এমন সময় এই সিদ্ধান্ত নিলো যখন প্রতিদিনই দেশটিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড তৈরি হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার লোককে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সংক্রমণের দিক থেকে দেশটি বিশ্বের শীর্ষ পাঁচে চলে গেছে।
তবে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতির চাকা আবার সচল করতে হলে এর বাইরে বিকল্প কোনো উপায় নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবকিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ধর্মীয় উপসনালয় খুলে দেওয়ার অংশ হিসেবে দিল্লির ঐতিহাসিক জামা মসজিদের দরজাও আজ থেকে মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তবে মসজিদে যেতেও নানা নতুন নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
মসজিদ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে জামা মসজিদের শাহী ইমাম আহমেদ বুখারি বলছেন, সরকার যেসব নির্দেশনার কথা বলেছে, আমরা তার চেয়েও বেশি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছি।
তিনি বলছেন, বর্তমানে দিল্লিতে যেভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু সরকার যেহেতু মসজিদ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছে, সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি। পাশাপাশি বয়স্ক ও বৃদ্ধদের আসতে নিষেধ করেছি।
আহমেদ বুখারি আরো বলেন, ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য মসজিদ থেকে কার্পেট সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসল্লিদের বাড়ি থেকেই ওজু করে আসতে হবে। সেইসঙ্গে সবাইকে নিজস্ব জায়নামাজ ও স্যানিটাইজারও আনতে বলা হচ্ছে।
আজ সোমবার পর্যন্ত ভারতে ২ লাখ ৬২ হাজারের বেশি লোক কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছে ৭ হাজার ৩৭২ জন। তবে দেশটিতে সুস্থতার হার বেশি। ফলে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি লোক সুস্থ হয়েছেন।