ভেজাল দুধ, ঘি ও মাখন চেনার কৌশল
শরীরের দুর্বলতা কাটাতে কম-বেশি সবাই দুধ খেয়ে থাকেন। তাছাড়া দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। দুধের তৈরি ঘি খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে। আর ঘি খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তবে বাজারে এখন প্রায় সব খাবারেই ভেজালের ছড়ারাছর অধিক লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা খাবারে ভেজাল মেশান। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। চাল-ডালে কাঁকর, ফলে রাসায়নিক পদার্থ, দুধে সাবান পানি ইত্যাদি নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসে ভেজাল মেশানো হচ্ছে। তাই নিজেদের এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে রক্ষা করতে টাকা দিয়ে ভেজাল মেশানো বিষাক্ত খাবার-দাবার কেনা বন্ধ করতে হবে।
এখন বাজারে ভেজাল দুধ, ঘি ও মাখন পাওয়া যাচ্ছে। তাই সতর্কতা বাড়াতে চলুন জেনে নেয়া যাক ভেজাল দুধ, ঘি ও মাখন চেনার উপায়-
দুধে ভেজাল চেনার উপায়
দুধ থেকে মাখন তুলে নিলে বা দুধে পানি মেশালে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের পরিবর্তন ঘটে। যা ল্যাকটোমিটার যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই ধরা পড়ে যায়। যন্ত্রকে ফাঁকি দেয়ার জন্য অসাধু ব্যবসায়ীরা আটা, গুঁড়া দুধ, ময়দা এমনকি চালের গুঁড়াও দুধের সঙ্গে মেশান।
এতে দুধের আপেক্ষিক ঘনত্বের খুব বেশি হেরফের হয় না। দুধে এসব ভেজাল মেশানো আছে কি না, তা জানান জন্য দুই চামচ দুধ একটি কাপে নিন। এতে দুই ফোঁটা টিংচার আয়োডিন মেশান। দুধের রং হালকা নীল হলে বুঝবেন এতে ভেজাল হিসেবে আটা বা ময়দা মেশানো রয়েছে।
ঘি বা মাখনে ভেজাল চেনার উপায়
বিশুদ্ধ ঘি বা মাখনে ভেজাল হিসেবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে বনস্পতি বা ডালডা। এক চামচ ঘি বা মাখন গলিয়ে একটি স্বচ্ছ কাচের বোতলে রাখুন।
এতে একই পরিমাণ মিউরিঅ্যাটিক অ্যাসিড ও সামান্য চিনি মেশান। এরপর এটির মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। কিছুক্ষণ ঝাঁকানোর পর পাত্রটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। কিছুসময় পর এর নিচে যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন এতে ভেজাল মেশানো রয়েছে। সূত্র: বোল্ডস্কাই