Breakingনগরজীবন

মাছ আছে, কেনার মানুষ নেই

বড় বড় ডালায় সাজানো আছে নানা পদের বাহারি মাছ। ডালার পানিতে ঝাপটাচ্ছেও জ্যান্ত মাছগুলো। তবুও দেখা মিলছে না ক্রেতার। কিছুক্ষণ পর পর দুই একজন আসলেও তারা দাম জিজ্ঞেস করে চলে যাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ আধা কেজি থেকে সর্বোচ্চ এক কেজি মাছ কিনছেন। এ অবস্থায় গোমড়া মুখে সময় পার করছেন অধিকাংশ দোকানি।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারের চারুলতা মার্কেটে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এদিন সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাজারে মাছ কিনতে আসা ইঞ্জিনিয়ার আবদুল কাইয়ূমের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। পুরো বাজার ঘুরে আধা কেজি ওজনের একটি নলা মাছ কিনেছেন তিনি।

অনেকটা ক্ষোভ নিয়েই এ ক্রেতা বলেন, রোজায় নাকি বাজার মনিটরিং করা হয়। দাম তো বেড়েছে রোজার আগেই। সব ধরনের মাছে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এই নলা মাছও আগে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে কিনতাম। এখন এক বেলার জন্য একটি মাছ কিনলাম। সেটির দামও ১১০ টাকা।

এসময় মাছ বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, রোজা শুরুর পর আজকেই বাজারে মাছ উঠিয়েছি। মাছের দাম বাড়তি, মানুষ কম বাজারে। আমার দোকানে উনিই প্রথম ক্রেতা। এই মাছগুলোই আগে আরও কম দামে বিক্রি করেছি। এখন আমাদের কিনতে হয় বেশি দামে। তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এত বড় মাছের বাজারে হাতে গোনা ১০ থেকে ১২ জন ক্রেতা। যত না ক্রেতা, তার চেয়ে মাছের দোকানের সংখ্যাই বেশি। ক্রেতাদের সবারই চোখ কম দামি মাছের দিকে। তবে সেই কমদামি মাছের দামও বাজারে ১৮০ টাকা কেজির নিচে না।

বাজারে মাছের দাম

বিভিন্ন দোকানিদের তথ্যমতে, বাজারে কেজি প্রতি তেলাপিয়া মাছ ১৮০ টাকা (আগে ১৫০-১৬০ টাকা), বড় পাঙাস ২০০ টাকা (আগে ১৮০ টাকা), ছোট পাঙাস ১৮০ (আগে ১৫০ টাকা), কই মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, শিং ৪০০-৪৫০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৫৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০-৭০০ টাকা এবং গুলশা মাছ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সূত্রঃ ঢাকা পোস্ট

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =

Back to top button