Breakingআইন ও বিচার

মামুনুল হকের সঙ্গে ঝর্ণার বিয়ে বৈধ: আইনজীবী

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের সঙ্গে জান্নাত আরা ঝর্ণার বিয়ে বৈধ। ঝর্ণার ছেলে আবদুর রহমানের সাক্ষ্যের বরাত দিয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন এমন দাবি করেছেন। সোমবার দুপুরে শহরের নতুন কোর্ট এলাকায় প্রেস ব্রিফিংয়ে আবদুর রহমানের দেওয়া সাক্ষ্যের সার্টিফায়েড কপি দেখিয়ে অ্যাডভোকেট নয়ন এ দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, আবদুর রহমানের সাক্ষ্য প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরাবরই গণমাধ্যমে মিথ্যাচার করে আসছেন।

অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন আরও বলেন, ৬ জুন আদালতে ঝর্ণার ছেলে রহমান বলেছেন, ‘আমার মা ঝর্ণা ও আল্লামা মামুনুল হকের বিয়ে বৈধ। তারা দুজন স্বেচ্ছায়-সজ্ঞানে বিয়ে করেছেন।’ নয়ন বলেন, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর মামলার বাদী (ঝর্ণা) যেদিন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ঝর্ণাকে ৪১ বার ধর্ষণ করা হয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। আর ৪১ বারই নাকি ঝর্ণা হ্যাঁ উত্তর দিয়েছিলেন। কিন্তু এদিন আমরা মাত্র দুই থেকে তিনবার এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। এভাবে শুরু থেকে রাষ্ট্রপক্ষ মিথ্যা তথ্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। নিজের জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে উল্লেখ করে আইনজীবী নয়ন বলেন, ‘এ মামলার আইনজীবী হিসাবে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

এ প্রসঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামুনুল হকের আইনজীবী মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তার সব বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।

এদিকে সার্টিফায়েড কপিতে দেখা যায়, মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আবদুর রহমান বলেছেন, ‘২০১৮ সালে আমার মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়। এরপর আমার মা ঢাকা চলে আসেন। ঢাকায় আসার পর আসামি মামুনুল হকের সঙ্গে আমার মায়ের সম্পর্ক হয়। আমি যতটুকু জানি তাদের বিয়ে হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলতে থাকে। আসামিকে পূর্ব থেকে চিনতাম। আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমার বাবাকে মা তালাক দিয়েছেন, এটা সত্য নয়।’ ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + 2 =

Back to top button