করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সম্প্রতি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এমনকি মাস্ক না পরলে সেবা না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথাও বলা হয়।
এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কিছু এলাকায় মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাস্ক না পরায় ৩০ জনকে ৬ ঘণ্টার আটকাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া এই ৩০ জনসহ মোট ১০৩ জনকে জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও অনেকেই অবহেলা করে তা পরছে না। মাস্ক না পরে জনবহুল এলাকায় ঘোরাঘুরি করা যেমন স্বাস্থ্য বিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন, তেমনি এর ফলে তারা নিজেরাও ঝুঁকিতে পড়ছেন এবং অন্যদেরকেও ঝুঁকিতে ফেলছেন।
তিনি জানান, মাস্ক না পরার কারণে ৩০ জনকে কোতয়ালী থানায় আটক রাখা হয়। এ ছাড়া এই ৩০ জনসহ ৮৯ জনকে বিভিন্ন অংকে জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মহানগরীর হকার্স মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৪ জনকে মাস্ক না পরায় ২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে পরবর্তীতে মাস্ক পরার প্রতিশ্রুতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিবি করিমুন্নেসা এবং কোতয়ালী থানার এসআই সাদ্দাম হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।