স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

মাড়ির রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

দাঁতের মাড়িতে রক্তক্ষরণ হয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা, দাঁতে পাথর বা ক্যালকুলাস হওয়া ইত্যাদি কারণে। প্রশ্ন হলো, এ রক্তক্ষরণ প্রতিরোধে কী করা যায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে দাঁত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই। ওরাল হাইজিন বা দাঁত পরিষ্কার-রিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি মেনে চলতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই করণীয় হচ্ছে, দু’বেলা ব্রাশ করার পাশাপাশি মাউথওয়াশ ব্যবহার।
এনটিভি’র এক প্রতিবেদন বলছে, এর বাইরে আসলে ওরাল হাইজিনের ক্ষেত্রে আরো কিছু সম্পৃক্ততা থাকে। প্রথম হলো, দুই বেলা ব্রাশ করতে হবে এবং অবশ্যই রাতে ব্রাশ করতে হবে। সকালে সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে কুলি করে, নাস্তাটা করে এরপর ব্রাশ করতে হবে। রাতে একেবারে ঘুমের আগে ব্রাশ করে ঘুমাতে হবে।
দ্বিতীয় হলো, মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করব। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়। যাদের মুখের অবস্থা খারাপ বা ক্যালকুলাস রয়েছে, তারা ব্যবহার করতে পারে। তবে মাউথ ওয়াশটা নিয়মিত নয়। ৩৬৫ দিনই আমাকে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতে হবে, এর দরকার নেই। মুখের অবস্থা অনুযায়ী আমরা ব্যবহার করতে পারি।
আর ব্রাশ করার পদ্ধতিটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই দেখা যায় যে চার থেকে পাঁচ মিনিট ব্রাশ করছে, সাধারণত দুই থেকে তিন মিনিট ব্রাশ করলেই যথেষ্ট। আদর্শগতভাবে বলা হয়, দুবেলা আমি ব্রাশ করব দুই মিনিট করে।


অনেকে রয়েছে খুব জোরে জোরে ব্রাশ করে। এত জোরে ব্রাশ করে যে ব্রাশের ব্রেসেলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে দাঁতের ক্ষয় হয়। তাই ব্রাশ করার পদ্ধতিটা সঠিক হতে হবে। দুই বেলা অবশ্যই ব্রাশ করতে হবে।
এরপর হলো, ডেন্টাল ফ্লস। সুতার মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার করা। দুই দাঁতের মাঝে যে খাবারগুলো লেগে থাকে, সেগুলো ব্রাশের মাধ্যমে পরিষ্কার হবে না, তখন ব্রাশ করার পর আমরা ফ্লস ব্যবহার করব। দুই দাঁতের প্রতেকটি সংযোগস্থলে ফ্লস ব্যবহার করতে হবে। তাহলে সে জায়গার খাবারগুলো বের হয়ে যাবে।
এরপর কোনো কিছু খেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে যেন কুলি করে ফেলি, এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে। মিষ্টি জাতীয় ও আঠালো জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। প্যাকেটজাত দ্রব্য, যেমন, কোক, স্প্রাইট, জুস দাঁতের ক্ষতি করে। এগুলো আমাদের এড়িয়ে যেতে হবে।

ছবি: প্রতীকী

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 4 =

Back to top button