মুখরোচক ফলের মৌসুম
প্রখর রোদের তীব্রতা কিংবা চোখের পলকে কালো মেঘের ঘনঘটা, ঋতুচক্রে শরতের আমেজ এভাবেই বুঝা যায় প্রকৃতির মাঝে। শুভ্র মেঘে আর কাশফুলের দল যেন সাজিয়ে তোলে গোটা পৃথিবী। ঋতুভেদে তাই শরতকে বলা হয় ঋতুরানি। শুধু প্রকৃতি সাজিয়ে তোলাই নয় এ ঋতুতে পাওয়া যায় নানা মুখরোচক ফলও। এসব ফলে যেমন আছে ভিটামিন, মিনারেল তেমনি আছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকর। অন্যদিকে যাদের ঠান্ডা কিংবা জ্বর প্রায়শই হয়ে থাকে তারা মৌসুমি ফলের মাধ্যমে নিজেদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারেন। তাই হাতের কাছে এসব মৌসুমি ফল যেমন- কদবেল, জলপাই, আমড়া, চালতা, করমচা রাখতে পারেন খাবারের তালিকাতে।
কদবেল
টক স্বাদের এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর বাইরের আবরণ শক্ত এবং বেলজাতীয় এ ফলে আঁশ, প্রচুর পরিমাণে আমিষ, শর্করাসহ ভিটামিন বি-১, বি-২। এ ফল একদিকে যেমন মুখরোচক তেমনি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কদবেল আপনার যকৃত যেমন সুস্থ রাখে তেমনি হৃৎপিণ্ড সচল রাখতেও সহায়তা করে। অন্যদিকে পাকা কদবেল ভর্তা হিসাবেও বেশ পরিচিত।
জলপাই
দেখতে ছোট আর গোলাকার সবুজ রঙের এ ফলটিতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। একটি জলপাই থেকে আপনি যেমন প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিজেন পাবেন তেমনি পাবেন ভিটামিন সি। জলপাই কাঁচা সময় যেমন রান্না করে খাওয়া যায় তেমনি পাকা জলপাইয়ের আঁচার কিংবা ভর্তাও বেশ পরিচিত। সারা বছর সংরক্ষণ করতে তাই অনেকেই জলপাইয়ের আচার করে কাচের বোতলে রাখেন।
আমড়া
পাতলা খোসা আর আঁশযুক্ত মাংসালো ফল আমড়া। একটি আমড়াতে আপনি অনায়াসে কার্বোহাইড্রেট থেকে শুরু করে প্রোটিন এবং ভিটামিন সি পাবেন। আমড়ার ক্ষেত্রেও আপনি চাইলে রান্না করে যেমন খেতে পারেন তেমনি আচার হিসাবেও সংরক্ষণ করতে পারেন বছরজুড়ে।
চালতা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ ফলটি আমাদের দেশেও খুবই পরিচিত। চালতার রস জ্বর কিংবা ঠান্ডাজনিত সমস্যার জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া মুখের ঘা কিংবা সর্দিসহ রক্ত আমাশার ক্ষেত্রেও চালতার রসের জুড়ি নেই। মৌসুমি ফলে আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যা আপনাকে রাখবে যে কোনো রোগ থেকে সুরক্ষিত আর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম করবে শক্তিশালী। তাই খাবারের তালিকাতে একটি হলেও মৌসুমি ফল রাখুন আর নিজেকে রাখুন সুস্থ সব ঋতুতেই।