জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির সেই ঐতিহাসিক সেই ব্যাট নিলামে ১৭ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন সাবেক পাক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
মুশফিকের পক্ষ থেকে গত শুক্র ও শনিবার বগুড়ার জেলা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন তার ভক্ত-সমর্থকদের একটি দল।
এদের মধ্যে মুশফিকের সহপাঠী বগুড়া জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান রয়েছেন। তিনি এই উদ্যোগের সমন্বয়কারীও।
গণমাধ্যমকে মাসুদুর রহমান বলেন, মুশফিকুর রহিমের ব্যাট বিক্রির টাকার একটি অংশ তার শৈশবের স্মৃতিঘেরা বগুড়ায় বিতরণ করা হয়েছে। তার ইচ্ছায় ঈদ উপহার জিলা স্কুলের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঈদের দিন ২৫০ পরিবারকে রান্না করা বিশেষ খাবারের প্যাকেট দেয়া হবে।
উদ্যোগে অংশ নেয়া স্বেচ্ছাসেবী দলটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা সামির হোসেন।
তিনি বলেন, মুশফিকুর রহিমের পাঠানো অর্থ দিয়ে গত শুক্র ও শনিবার শহরের সাতমাথা, মালতিনগর, নামাজগড়, শেখেরকোলাসহ বিভিন্ন স্থানে ৩০০ পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি আমরা। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে – চাল, ডাল, সয়াবিন, আলু, আধা কেজি করে লবণ ও পেঁয়াজ এবং সাবান।
এ ছাড়া কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত ও নিম্ন–মধ্যবিত্ত ১০০ পরিবারকে লাচ্ছা সেমাই ও চিনি, সুগন্ধি চাল ও গুঁড়া দুধ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার গল টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিম। যা টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম কোনো বাংলাদেশির এক ইনিংসে দুইশত রান। সেই ইতিহাস লেখা ব্যাট বিক্রির সব টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চিকিৎসা ও খাদ্যসহায়তায় ব্যয় করছেন মুশফিক।