মে মাসে বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজার
মহামারী করোনাকালেও বিশ্বের অন্যান্য পুঁজিবাজারগুলোকে পেছনে ফেলে আবারও সেরাদের তালিকায় স্থান করে বাংলাদেশ গড়লো নতুন রেকর্ড। তৃতীয়বারের মতো রিটার্নের দিক থেকে পুঁজিবাজার বিশ্বের শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম।
ফ্রন্টিয়ার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সম্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে।
উক্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিয়োগকারীরা আলোচ্য সময়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে রিটার্ন পেয়ছে। পাকিস্তান পেয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, চায়না ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ফিলিপাইনস ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২ দশমিক ৫ শতাংশ, থাইল্যান্ড শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ, কাজাকিস্তান ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
আলোচ্য প্রতিবেদন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানান, “কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর মাধ্যমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রড ইনডেক্স মে মাসে বড় ধরনের উত্থান হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ অবস্থান করছে বিশ্ব সেরা পারফর্মেন্স সূচকগুলোতে শীর্ষে।
বাংলাদেশে ব্যাংক সুদের হার কম, রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ইতিবাচক ধারার কারণে রিটার্নের দিক দিয়ে সেরা তালিকায় পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বিশ্লেষকরা বলছেন, “অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এর নেতৃত্বে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বাজার ফিরেছে ইতিবাচক ধারায় । বাজারমুখী হচ্ছেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এর দরুন বাজারে সূচক ৬ হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছিল। আর বিনিয়োগকারীরা ভালো রিটার্ন পেয়েছেন এমন বাজার থেকে। এছাড়া বর্তমান কমিশন বাজারের উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বহুজাতিক, সরকারি ও দেশি-বিদেশি ভালো মৌলভিত্তিক কোম্পানি তালিকাভুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে কমিশন। এসব কাজের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতেও সেরা তালিকায় স্থান ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের সেরা স্থান দখল করেছিল গত বছর সেপ্টেম্বরে ও অক্টোবর মাসে।