রিয়েল মাদ্রিদে একসময় বসত তারার হাট। প্রতি বছর বিশ্বের কোন না কোন সেরা এক তারকাকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হত মাদ্রিদে। সেই গ্যালাকটিকো যুগেও রিয়েল মাদ্রিদের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ যা করতে পারেননি সেটাই করে দেখাবে পিএসজি– অবিশ্বাস্য এমন এক স্বপ্নই দেখছেন ফ্যাব্রিস প্যানক্রেত। সাবেক এই মিডফিল্ডারের স্বপ্ন, বিশ্বের সেরা দুই খেলোয়াড়ই শুধু নয়, তাদের মূল দুই প্রতিদ্বন্দ্বীও খেলবেন ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নদের হয়ে।
চল্লিশ বছর বয়সী এই সাবেক ফুটবলারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময় কেটেছে পিএসজিতে। প্যানক্রেত পাঁচ বছর খেলেছিলেন এই ক্লাবে। সেটা অবশ্য ক্লাবটির কাতারের মালিকানাধীন যুগ শুরু হওয়ার আগের কথা। মালিকানা পরিবর্তন হলেও ক্লাবের প্রতি ভালোবাসা একবিন্দু কমেনি তাঁর। আর এ কারণেই নিজের ক্লাবে বিশ্বের সব সেরা খেলোয়াড়কে পাওয়ার স্বপ্নটা এভাবে জানালেন প্যানক্রেত।
লিওনেল মেসি আর বার্সেলোনায় থাকবেন না। বাজারে জোর গুঞ্জন বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেবেন মেসি। যে কোচের অধীনে বিশ্ব সেরা হয়েছিলেন সেই পেপ গার্দিওলার দলটির দায়িত্বে আছেন। সম্ভাব্য সবকিছু জেতার মতো এক দল আছে সিটির। কিন্তু প্যানক্রেতের দাবি সিটি নয় পিএসজিতেই যাবেন মেসি। কারণ? শহর হিসেবে ম্যানচেস্টার নাকি ‘বিশ্রী!’ সংবাদমাধ্যম লে প্যারিসিয়েনকে বলেছেন, ‘আমার কী ধারণা আপনাদের বলি, শহরটা কেমন সেটা বাদ দিই—কারণ ম্যানচেস্টার বিশ্রী, ধূসর, সব সময় বৃষ্টি হচ্ছে। এসব ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে যা দেখে মনে হচ্ছে মেসি প্যারিসেই যাবে।’
চমক শেষ হয়নি এখনো, ‘আর রোনালদো ২০২১ সালে তাঁর সঙ্গে যোগ দেবে। গার্দিওলাও যাবে।’
এ আশার পক্ষে যুক্তিও দেখিয়েছেন এই সাবেক মিডফিল্ডার, ‘আমার ধারণা গার্দিওলা ও মেসি একে অন্যের সঙ্গে কথা বলেছে আগেই। গার্দিওলা নির্ঘাত বলেছে, “আমরা সব উল্টে পাল্টে দেব। আমি তোমাকে ম্যানচেস্টারে চাই, কিন্তু প্যারিসেই যাও। আর চিন্তা কোরো না। আগামী বছর আমিও যোগ দেব সেখানে।” আমার এমনটাই মনে হচ্ছে। আর পিএসজির স্লোগান, “চল বড় কিছুর স্বপ্ন দেখি”এর সঙ্গে একদম মিলে যায়। ওরাই হবে বিশ্বের প্রথম দল যারা ভিন্ন গ্রহের চারজনকে এক করবে: রোনালদো, মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে। সঙ্গে পাগলাটে এক কোচ।’
এদিকে জুভেন্টাসের জার্সিতে দুই বছর কাটিয়ে দেওয়া রোনালদোর বয়স ৩৫ হয়ে গেছে। আগামী মৌসুমে ৩৬ বছরের রোনালদোকে পিএসজি কেন চাইবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। কিন্তু প্যানক্রেতের চোখে এটা কোনো সমস্যা না, ‘অনেকেই বলে মেসির বয়স এখন ৩৩, রোনালদো ৩৬ হবে। কিন্তু এমন মানের খেলোয়াড়দের তো দৌড়াতে হয় না। বলই তো মাঠে দৌড়ায়। ওরা টেকনিক দিয়েই পার্থক্য গড়ে দেয়। যদি দলের বিপণনের দিকটা চিন্তা করে বুফন, বেকহামকে ৩৭ বছরে দলে নিতে পারেন, তাহলে রোনালদোকেও নেওয়া যায়। কারণ সে এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, পেশাদার এবং কোনো ভয় করে না। প্যারিসের লাভ হবে। রোনালদোর এখনো ইউরোপ ছাড়ার সময় হয়নি। ওর আরও চ্যালেঞ্জ দরকার। জুভের পর আর কেই-বা সেটা দিতে পারবে? এই স্বপ্নের দলের কথা কল্পনা করতে পারছেন? এটা হবে চমকপ্রদ।’