‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল তারাই আজ ব্যর্থ হয়েছে’, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের এ আলোচনায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সংগামী জীবন আর আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এদেশের মানুষই ছিল বঙ্গবন্ধুর কাছে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসার। তবে আক্ষেপ করেন, প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস এগুলোর হাত থেকে দেশকে মুক্ত রেখে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। জাতির পিতার এই প্রত্যাবর্তন দিবসে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা। এই জাতি বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে যারা ব্যর্থ করতে চেয়েছিল আজকে তারাই ব্যর্থ হয়েছে। স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ যে মর্যাদা পেয়েছে সেই মর্যাদা ধরে রেখে আমরা বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বাকশাল ব্যবস্থা গণমুখী করতে পারলে দেশ বহু আগেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হতো। তিনি আরো জানান, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, যুব মহিলা লীগসহ যত সংগঠন আছে- তাদের আমরা অনুরোধ করব, আপনাদের বাড়ির পাশে যদি কেউ ভূমিহীন থাকে, গৃহহীন থাকে, নিঃস্ব থাকে তাদের কথা জানাবেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বিনে পয়সায় ঘর করে দেব। কারণ, আওয়ামী লীগ জাতির পিতার সংগঠন। এই সরকার মানে জনগণের সেবা করার সরকার। আমরা জনগণের সেবক।
অন্যদিকে, করোনার ভ্যাকসিন পেতে সরকারের আন্তরিকতার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নিরাপদ থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দেন।