ধর্ম ও জীবন

যে ফরজ কাজেই রয়েছে ক্ষমার ওয়াদা

সহজ আমল। তা-ও আবার নিয়মিত করতেই হয়। আর এ আমলের বিনিময় আল্লাহ তাআলা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন। এই সহজ আমলগুলো কী? এ সম্পর্কে হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন?

মানুষের জন্য প্রতিদিনই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ। ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় হোক এই ফরজ নামাজ সবাইকে পড়তেই হবে। আর এটাই আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। এ নামাজ পড়তে গিয়ে যারা যথাযথভাবে অজু করে প্রতিটি রোকন যথাযথভাবে আদায় করবে; আল্লাহ তাআলা নিজেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়ার ওয়াদা করেছেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসের বর্ণনায় এসেছে-

হজরত উবাদাহ ইবনু সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। যা আল্লাহ তাআলা (বান্দার জন্য) ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এ (ফরজ) নামাজের জন্য ভালোভাবে অজু করবে; সঠিক সময়ে (নামাজ) আদায় করবেন। এবং এর (নামাজের) রুকু ও খুশুকে পরিপূর্ণরূপে আদায় করবেন; তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন আবার ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)

হাদিসের নির্দেশনা হলো-
> আল্লাহ যে নামাজ ফরজ করেছেন; তা যথযথভাবে অজু করা।
> নির্ধারিত সময়ে নামাজ পড়া।
> নামাজে আল্লাহর প্রতি ভয় রাখা।
> নামাজের রুকুগুলো ধীরস্থিরভাবে আদায় করা।
তবেই মহান আল্লাহ এসব ফরজ নামাজ আদায়কারীকে ক্ষমা করে দেবেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

অন্য হাদিসে ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের উপর যথাযথ আমল করেল মহান আল্লাহ মানুষকে জান্নাত দান করবেন বলেও ঘোষণা এসেছে এভাবে-

হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা। তোমরা তা আদায় কর; তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট করা মাসটির (রমজানের) রোজা রাখ। তোমাদের ধন-সম্পদের জাকাত আদায় কর এবং তোমাদের নেতৃবৃন্দের আনুগত্য কর। তাহলে তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিজি, মিশকাত)

মনে রাখতে হবে : মুসলমান ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্যকারীও হলো নামাজ। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘(মুমিন) বান্দা ও কুফরির মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ছেড়ে দেওয়া।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে আল্লাহর ফরজ করা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ভালোভাবে অজু করে আল্লাহকে ভয় করার মাধ্যমে ধীরস্থিরভাবে আদায় করা জরুরি। আর তাতেই মিলবে মহান প্রভু ক্ষমা। যে ক্ষমা করার ওয়াদিা তিনি মানুষকে দিয়ছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ গুরুত্ব ও সম্মানের সঙ্গে আদায় করার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত জীবন পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × three =

Back to top button