যেভাবে করোনামুক্ত হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
আসুন, আমরা ওই শিক্ষার্থীর বয়ানেই শুনি করোনামুক্তির রহস্য।
“আমার পজেটিভ আসে গত ৮ এপ্রিল। রাত ১২ টার দিকে আইইডিসিআর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে বলে আপনার করোনাভাইরাস পজেটিভ।
তারপর ১৪ এপ্রিল আবার স্যাম্পল দিয়ে আসি। ১৫ এপ্রিল দুপুর বেলা আমাকে জানানো হয় করোনাভাইরাস নেগেটিভ। ৬-৭ দিনের মধ্যেই আল্লাহর রহমত আর আপনাদের দোয়ায় কোভিড-১৯ নেগেটিভ করতে পেরেছি।
যেভাবে আমি সুস্থ হলাম-
আমি আসলে এই জায়গাটা থেকে আমার অভিজ্ঞতা জানাতে চাইছি। পজেটিভ থেকে নেগেটিভে নিয়ে আসতে হলে আসলে আমাদের কী করণীয়। বা আমার ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো কাজ করেছে?
পজেটিভ আসার পরে আমি সাথে সাথে যেটি করেছি সেটি হচ্ছে- আমার সাথে বিগত কয়েকদিন যারা ছিল তাদেরকে ফোন দিয়ে, ম্যাসেজ দিয়ে বিষয়টা জানিয়ে দেই। কারণ তারা কোয়ারেন্টিনটা মানার চেষ্টা করেন।
আমি প্রথমে নিজেকে একটি ঘরে একা আবদ্ধ করে ফেলি। আমার আশেপাশে কাউকে আসতে দেইনি। একেবারেই একা ছিলাম।
এরপর আমি প্রতিদিন যখন গোসল করতাম। তখন পানি গরম করে নিতাম। সেই পানিতে স্যাভলন মিশিয়ে গোসল করেছি।
এরপর আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করতাম। যতটুকু গলায় সহ্য সেই পরিমান গরম পানি সাথে লবন দিয়ে গড়গড়া প্রতিদিন ৩ বার করতাম।
আমি ১ ঘন্টা পরপর এক-দুই গ্লাস করে যতটা গরম সহ্য হয় গরম পানি খেতাম।
১ ঘন্টা পরপর সাবান দিয়ে হাত ধোঁয়া ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে। আমার কাপড়-চোপড়গুলো পরিষ্কার করে রাখতাম। রুমটা খুব ভালোভাবে স্যাভলন পানি দিয়ে প্রতিদিন পরিষ্কার করেছি।
আইইডিসিআর থেকে আমাকে বলেছে সব রকম খাবার খাওয়া যাবে। তবে ভিটামিন সি টা বেশি রাখা ভালো। কমলা লেবু, লেবুর শরবত, আপেল, মালটা, নাশপাতি – এগুলো আমি খেয়েছি।
আমি ট্যাবলেট কেভিট –সি টা খেয়েছি। ১০ ট্যাবলেট থাকে। আমি ৬ টা খেয়েছি মাত্র।
এটা ছিল আমার অভিজ্ঞতা। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। কারো ভাইরাস পজেটিভ হয়ে গেলেও ভয়ের কোনো কারণ নেই। একেবারেই ভেঙ্গে পড়ার কোনো কারণ নেই। শুধু সচেতন থাকুন। নিজেকে একটি রুমে আবদ্ধ করে ফেলুন। আর সবকিছু মেনে চলুন। পজেটিভ হলেও পরে নেগেটিভ চলে আসবে আল্লহর রহমতে।
দয়াকরে এই সময়টাতে ঘরে থাকুন। নিজে বাঁচুন, আপনার পরিবারকে বাঁচান। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বাঁচান।”
লেখক:
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। #collected