রাজনীতিবিদের দূর্নীতি শেখায় দূর্নীতিবাজ আমলারাঃ আব্দুল কাদের মির্জা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি শিখিয়েছে দুর্নীতিবাজ আমলারা। আমলারা অবসর গ্রহণ করে স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাববিস্তারের উদ্দেশ্যে দলে বিভাজন সৃষ্টি করে।
দলীয় সংসদ সদস্য মনোনয়ন লাভের জন্য দুর্নীতিবাজ আমলারা এসব করে। নিজের ফেসবুক লাইভে এসে বুধবার রাতে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের মির্জা বলেন, রাষ্ট্র পরিচালিত হয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা। তাদের সহায়তায় প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারের নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দুর্বল রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে আমলারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালে অতি উৎসাহী আমলারা জনতার মঞ্চ, আবার ২০০৬ সালে চারদলীয় জোটকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য তারা উত্তরা ষড়যন্ত্র করে।
এতে আমলারা চাকরির বিধিলঙ্ঘন ও শপথ ভঙ্গ করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। কিন্তু এদের কোনো বিচার হয়নি। আমলারা জনগণের সেবক হয়ে এ ধরনের কাজ যেন না করতে পারে, সেজন্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সজাগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমলাদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছেন।
সৎ কর্মকর্তাদের কারণে এখনো দেশ টিকে আছে। সচিব বেলায়েতের এক্সটেনশন না দেওয়ায় মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ আমলাদের বিরুদ্ধে কঠোরতার প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অরাজনৈতিক কালোটাকার মালিক ব্যবসায়ীরা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
টাকার জোরে এমপি-মন্ত্রী হয়ে এরা সচিবদের স্যার বলে। উপজেলা চেয়ারম্যানরাও ইউএনওকে স্যার বলে। নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরীরও রাজনীতিতে উত্থান ঘটেছে কালোটাকার জোরে। সে নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। এদিকে বৃহস্পতিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ‘বসুরহাট পাঠাগার’ নামে একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্বোধন করেন আবদুল কাদের মির্জা।