Lead Newsসরকার

রিজেন্ট যেভাবে কোভিড হাসপাতাল: দুদকের ময়নাতদন্ত

কীভাবে মোহাম্মদ সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নিবেদিত হাসপাতাল হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল, তার একটি ভাষ্য এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায়।

দুদক বলছে, রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের লিখিত কোনো নির্দেশনা ছিল না। একজন পরিচালকের ‘মনগড়া’ পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এক দিনের মধ্যে চার টেবিল ঘুরে বিষয়টি অনুমোদন পেয়ে যায় এবং তার দুই দিনের মাথায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের সঙ্গে চুক্তি করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তখনকার মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বুধবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলা দায়ের করেন। রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চার কর্মকর্তাকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।

সাহেদ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ‘অসৎ উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার অভিপ্রায়ে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে’ লাইসেন্সের মেয়াদবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন।

“যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরেছেন।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 4 =

Back to top button