Lead Newsঅপরাধ ও দূর্ঘটনা

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের ব্যাংক হিসাব তলব

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ও তার পরিবারের সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাব তলব এবং তা খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট)।

বুধবার (৮ জুলাই) রাতে সংস্থাটির প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রাজী হাসান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিপোর্ট থাকলে বা কারও ব্যাপারে তথ্যের দরকার হলে আমরা ব্যাংক হিসাব তলব করি। রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের ব্যাংক হিসাবও আইন মেনে তলব করা হয়েছে।’ সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্বাহী প্রধানদের কাছে এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সন্দেহভাজন নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় এবং মেয়াদপূর্তির পরও লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) করোনা ডেডিকেটেড বেসরকারি রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করে দেয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

এরপর মঙ্গলবার রাতেই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন— হাসপাতালের অ্যাডমিন অফিসার আহসান হাবীব (৪৫), এক্সরে টেকনিশিয়ান হাসান (৪৯), মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হাকিম আলী (২৫), রিসিপশনিস্ট কামরুল ইসলাম (৩৫), রিজেন্ট গ্রুপের প্রজেক্ট অ্যাডমিন রাকিবুল ইসলাম (৩৯), রিজেন্ট গ্রুপের এইচআর অ্যাডমিন অমিত অনিক (৩৩), গাড়িচালক আব্দুস সালাম (২৫), এক্সিকিউটিভ অফিসার আব্দুর রশীদ খান জুয়েল (২৮),ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ (৪০), হাসপাতাল কর্মচারী তরিকুল ইসলাম (৩৩), স্টাফ আব্দুর রশিদ খান (২৯), স্টাফ শিমুল পারভেজ (২৫), কর্মচারী দীপায়ন বসু (৩২) ও মাহবুব (৩৮)। অপর দু’জনের নাম জানা যায়নি।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করোনা টেস্ট না করে রোগীদের জাল রিপোর্ট দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে র‍্যাব মামলা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen + 12 =

Back to top button