লকডাউন কতদিন চালাতে হবে?
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা বিশ্বেই যেমন চলছে লকডাউনে তেমনই এই লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী থেকে মানুষ এখন বিরক্ত। এ থেকে মুক্তির অপেক্ষায় এখন দেশের মানুষ।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে জানিয়েছে বিশ্বখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ইয়ান লিপকিন। তার মতে, মানুষ বুঝতে পারছেন না কবে এই বন্দী দশা শেষ হবে। কিন্তু এরও উপায় আছে।
ভাইরোলজিস্ট ইয়ান লিপকিন বলেন, ‘করোনার সঙ্গে লড়তে গেলে এই লকডাউন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে জরুরি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। ব্রাজিল এক্ষেত্রে গাফিলতি করে সর্বনাশ ঘটিয়েছে। ফলে বিন্দুমাত্র গাফিলতি চরম সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।’
তাহলে লকডাউনের সমাধান কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একমাত্র পূর্ণ লকডাউনই, লকডাউন থেকে বেরোনোর রাস্তা। এজন্য বিজ্ঞানের রাস্তায় হাঁটতে হবে। গবেষক, চিকিত্সক, বিজ্ঞানীরা যা বলছেন তা মেনে চলতে হবে। নির্দিষ্ট দিন মেনে নয় বরং ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্যাকসিন বের না হওয়া পর্যন্ত চালাতে হবে। আর সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, ততদিন কোনোভাবেই লকডাউন তুলে নেওয়া যাবে না।’
গরিব মানুষদের পক্ষে সোশ্যাল ডিসট্যান্স মানা বা লকডাউন মেনে বাড়িতে বসে থাকা সম্ভব নয়। মানতে গেলে অনাহারে মরতে হবে। তাই সরকারের উচিত তাদের দিকে নজর দেওয়া বলে জানালেন ইয়ান লিপকিন।
এদিকে, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও জানিয়েছেন, যতদিন না করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বা ওষুধ বের হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফেরা উচিত নয়। একমাত্র কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনই পারে বিশ্বকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরাতে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, চলতি ২০২০ সালের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বের করে ফেলতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।