Lead Newsআন্তর্জাতিক

লাদাখে চীনের আরো বাড়তি সেনা, স্যাটেলাইটে যুদ্ধ প্রস্তুতির ছবি

চীন-ভারত উত্তেজনা লাদাখ সীমান্তে দিন দিন শুধু বাড়ছেই। সব রকম খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত দুই দেশ। সীমান্তে পৌঁছে গেছে ভারতের ৪৫ হাজার সেনা, টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, জমি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র। বসেছে এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম।

উপগ্রহচিত্রে গালওয়ান উপত্যকায় এরই মধ্যে নতুন করে চীনের আরও ১৬টি সেনা ছাউনির ছবি ধরা পড়েছে। তাতেই চিন্তার মাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছে ভারতের।

গত ২২ জুনের উপগ্রহচিত্রে গালওয়ানে চীনের তৈরি পাকা পরিকাঠামোর হদিস মিলেছিল। এবার ২৫ ও ২৬ জুনের ছবিতে আরও ১৬টি কালো ত্রিপলে ঢাকা সেনাছাউনি দেখা যাচ্ছে, যা আগের ছবিতে ছিল না। অর্থাৎ চীন সেনা মোতায়েন আরো বাড়িয়েছে।

ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের প্রশ্ন চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ১৮ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে, তাদের ফেরত পাঠানোর কোনও উপায় কি আদৌ রয়েছে? সেটা না থাকলে সেনা-প্রস্তুতি দিয়ে অতি-জাতীয়তাবাদী দেখানোর অর্থ কী?

দেশটির বিরোধীদের মতে, ভারত এখন যে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে তার মূল লক্ষ্য চীন যাতে নতুন করে আর জমি দখল করতে না পারে। ফিঙ্গার চার থেকে আট এবং গালওয়ান উপত্যকার মতো এলাকা যাতে হাতছাড়া না হয়। কিন্তু গালওয়ানে দখল হওয়া কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার জমির কী হবে?

কূটনৈতিক স্তরে নানা ভাবে চীনকে ফিরে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু এত সহজে যে তা হবে না ঘরোয়াভাবে স্বীকার করছেন ভারতের সরকারি কর্তারাই। দু’দিন আগে চীনের সঙ্গে যুগ্মসচিব স্তরে বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়, এই প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি, দ্রুত মেটার নয়।

দু’টি বৃহৎ পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ কার্যত অসম্ভব। সেটা এমনকি চীনেরও লক্ষ্য নয়। চীনের লক্ষ্য, দৌলত বেগ ওল্ডি সড়কের বাকি থাকা ১৮ কিলোমিটার রাস্তা যাতে শেষ না করেই ফিরে যায় ভারত। কারণ ওই সড়কের সুবাদে কারাকোরাম পাস আর অন্য দিকে আকসাই চীন ভারতীয় সেনার নাগালে আসুক, তা চায় না বেইজিং। ভারতের উপর সেই চাপ বাড়াতেই গালওয়ান উপত্যকা আঁকড়ে পড়ে থাকার নীতি নিয়েছে চীন। জট কাটাতে দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা ছাড়া বিকল্প নেই বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 + eight =

Back to top button