BreakingLead Newsজাতীয়

শাটডাউন নয়, হবে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’: ফরহাদ হোসেন

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে আবারও জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শাটডাউন নয়, এটিকে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ হিসেবেই বাস্তবায়ন করা হবে। সোমবার থেকে এটি বাস্তবায়ন হবে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শিগগিরই জারি হবে।

শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের সাত জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে, এটি সারাদেশব্যাপী হবে। তাহলে হয়তো সংক্রমণের চেইনটা ভাঙা সম্ভব হবে।’

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আমরা অপেক্ষা করছি, দেখা যাক; আগামীকাল (শনিবার) যদি (প্রজ্ঞাপন জারি) সম্ভব হয়।’

সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার আশপাশের সাত জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে, এটি সারাদেশব্যাপী হবে
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

তাহলে শনিবারের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সে চেষ্টা আমাদের থাকবে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ এর সুপারিশ করা হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শাটডাউন’ নয়, এটি ‘বিধিনিষেধ’ হিসেবেই বাস্তবায়ন করা হবে।

‘যেটাই বলেন না কেন, এটি কঠোর বিধিনিষেধ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা এটি বলতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাইব মানুষ ঘরে থাকুক। এটি সবাইকে মেনে নিতে হবে। সবাই যদি বাসায় থাকি, তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভেঙে যাবে এবং সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য। যথেষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই এটি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই, যাতে চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণটা কার্যকর হয়।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি পরে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।

প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আমরা অপেক্ষা করছি, দেখা যাক; আগামীকালকে যদি (প্রজ্ঞাপন জারি) সম্ভব হয়
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কয়েকবার এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জুন বিধিনিষেধের মেয়াদ প্রায় এক মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

শুরুতে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকার কঠোর থাকলেও আস্তে আস্তে নমনীয় হতে দেখা যায়। এ কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারের দেওয়া নির্দেশনা এখন আর মানা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কীভাবে নতুন করে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিধিনিষেধ না মানার প্রবণতার বিষয়গুলো আমাদের মাথায় আছে। সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’

নতুন বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও দোকানপাট বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে গার্মেন্টস ও কলকারখানা বন্ধ রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী।

শাটডাউন নয়, এটি বিধিনিষেধ হিসেবেই বাস্তবায়ন করা হবে। যেটাই বলেন না কেন, এটি কঠোর বিধিনিষেধ। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আমরা এটি বলতে পারি
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এগুলো অতি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। কারণ জরুরি কিছু বিষয় আছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। তিনি যেভাবে অনুমোদন দেবেন বা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী আগামীকাল অথবা খুবই তাড়াতাড়ি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশে কোভিড-১৯ রোগের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে।

ইতোমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশটির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।

নতুন বিধিনিষেধে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও দোকানপাট বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে গার্মেন্টস ও কলকারখানা বন্ধ রাখা হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী

বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। এতে বলা হয়, জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য সভায় তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। এ রোগে থেকে পূর্ণ মুক্তির জন্য ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। বিদেশ থেকে টিকা সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে টিকা উৎপাদন করা এবং নিজস্ব টিকা তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ও কোভিড–১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বিকল্প উপায় না থাকায় ঢাকার আশপাশের জেলাসহ সাত জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে।

সারাদেশের সঙ্গে ঢাকার বাস, ট্রেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু অন্য জেলা থেকে ঢাকায় বা ঢাকা থেকে অন্য জেলায় মানুষের চলাচল বন্ধ হয়নি। এতে মূল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে খানিকটা ফল পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সীমান্ত থেকে ঢাকামুখী সংক্রমণ ছড়াতে হয়তো সময় লাগছে। কিন্তু ঢাকায় সংক্রমণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে কার্যপ্রণালী সঠিক করতে হবে, না হলে সুফল পাওয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী অনেক নির্দেশনা দেন, কিন্তু সেগুলো প্রতিপালন হয় না। কারণ, যারা বাস্তবায়ন করবেন তাদের মধ্যে ভাবনা, দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।

জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। বিকল্প গণপরিবহনও বন্ধ করতে হবে। রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ বাড়ছে বলে এখানেও গণপরিবহন বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধের পর মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সংক্রমিত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সংক্রমণের হার কমানো যেতে পারে
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘এখন আমাদের খুব কঠিন অবস্থানে যেতে হবে। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রীদের চলাচল থেমে নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষজন ঢাকায় আসছে। বিকল্প যানে এ চলাচল বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, জেলার মধ্যে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করতে হবে। বিকল্প গণপরিবহনও বন্ধ করতে হবে। রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ বাড়ছে বলে এখানেও গণপরিবহন বন্ধ করতে হবে। এটি বন্ধের পর মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। সংক্রমিত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সংক্রমণের হার কমানো যেতে পারে।

আবু জামিল ফয়সাল বলেন, সন্ধ্যার পর রেস্তোরাঁ, শপিং মল, চায়ের দোকানসহ জনসমাগম হয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হবে। দরকার হলে অফিস-আদালত সীমিতভাবে খোলা রাখা যায়। গণপরিবহনের শ্রমিকরা মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিবহন মালিকদের জরিমানা করার দরকার ছিল। কিন্তু সেটা করা যায়নি।

সন্ধ্যার পর রেস্তোরাঁ, শপিং মল, চায়ের দোকানসহ জনসমাগম হয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে হবে। দরকার হলে অফিস-আদালত সীমিতভাবে খোলা রাখা যায়। গণপরিবহনের শ্রমিকরা মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিবহন মালিকদের জরিমানা করার দরকার ছিল। কিন্তু সেটা করা যায়নি
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল

‘করোনার বিস্তার রোধে পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত, আইসোলেশন, কন্টামিনেশন ও কোয়ারেন্টাইন—এ পাঁচটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের এখানে এসব বিষয়ে যত গুরুত্ব দেওয়া হবে ট্রান্সমিশনের চেইন ভাঙা তত সহজ হবে’— বলেন এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় ঘাট এলাকায় মানুষের ভিড়

এদিকে, সাধারণের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ থাকলেও শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকেই এখানে যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। ফেরিতে চড়ে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে যাত্রীরা এপারে আসছেন। তবে শিমুলিয়া ঘাট থেকেও কিছু যাত্রী ওপারে বাংলাবাজার ঘাটে যাচ্ছেন।

সরকার ঘোষিত লকডাউনে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় যাত্রীদের ভিড় বেড়ে গেছে। সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েও আটকানো যাচ্ছে না যাত্রীদের।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটে গাড়ির চাপ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পণ্যবাহী ও সেবামূলক কাজে নিয়োজিত গাড়ি পারাপার হচ্ছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু পণ্যবাহী ও জরুরি যান পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। ফেরিতে গাড়ি ওঠানোর সময় তারা ফেরিতে উঠে পড়ছেন।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ভরে যাত্রীরা এপারে আসছেন। সকালে যাত্রী চাপ কম থাকলেও বিকেলে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট রয়েছে। তবে এপার থেকে খুব কম সংখ্যাক যাত্রীই ওপারে যাচ্ছেন। মূলত শাটডাউন ঘোষণার আশঙ্কায় ঘাট এলাকায় মানুষের ভিড় বেড়েছে।

এদিকে, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৫ জুন) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখল দেশ। এদিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৯৭৬ জনের। একদিনে সর্বাধিক ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায়; ঢাকায় মারা গেছেন ২৫ জন।

২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৬৯ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৪ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল দেশে করোনায় সর্বাধিক ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার আগের দিন ১৮ এপ্রিল ১০২ জন মারা যান। এছাড়া ১৬, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল ১০১ জন করে মারা যান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − eleven =

Back to top button