দেশবাংলা

শিমুলিয়া নৌরুটে ঘরমুখী মানুষের ঢল

ঈদকে সামনে রেখে করোনা ভাইরাসের মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলায় যাওয়া মানুষের ঢল নেমেছে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি ঘাটে।

শনিবার (১৬ মে) ভোর থেকেই সামাজিক দূরত্ব না মেনেই এই নৌরুট দিয়ে শত শত যাত্রী পারাপার হচ্ছেন। সঙ্গে বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গগামী শত শত মানুষের চাপ।

জানা যায়, শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোট ছোট গাড়ি। শত শত লোক এভাবে ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হওয়ায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বাস বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে যাত্রীরা মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা, মোটরসাইকেল ও উবারের অফলাইনের গাড়িতে করে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আর শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ, সিবোট বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পার হচ্ছে ফেরিতে।

অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা ভ্যান, মোটরসাইকেল করে ঢাকার উদ্দেশ্য কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। যার অধিকাংশই বিভিন্ন কলকারখানা ও গার্মেন্টসে কর্মরত।

এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম মিয়া জানান, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর এই নৌ-রুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ১০টির চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে, জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ও সরকারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পারাপারের ৭টি ফেরি সীমিত আকারে চলাচল করতো। যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন চালু রয়েছে ১২ থেকে ১৪টি ফেরি।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, খুব ভোরে ভিড় ছিল প্রচন্ড রকেমের। কিন্তু শিমুলিয়া মোড়ে হাইওয়ে পুলিশ ব্যারিকেট দিলে ভিড় কমে আসে।

তিনি জানান, শনিবার শিমুলিয়া-কাঁঠাবাড়ি রুটে ১৩টি ফেরি চলাচল করছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় বেলা সোয়া ১১টায় পণ্যবাহী ৬০টি ট্রাক এবং ছোট আকারের প্রায় ৫০টি যান পারাপারে অপেক্ষায় ছিল।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে যারা শনিবার ফিরছে। এদের মধ্যে গার্মেন্টস কর্মী তেমন দেখা যায়নি। এদের বেশীরভাগই অন্যান্য পর্যায়ের লোকজন মনে হচ্ছে। যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য বা অন্যান্য কাজের জন্য গিয়েছিলেন। আবার লকডাউন হয়ে যাওয়ায় খোলার মত পরিবেশ না থাকায় এবং সাধারণ ছুটি বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবারও চাপের কারণে ১৩ ফেরি চলাচল করছে। তবে ভোরে চাপ বেশি ছিল। আস্তে আস্তে কমে আসছে।

ভোরে মোটরসাইকেল নিয়ে রাজধানী ঢাকা থেকে ফরিদপুরগামী মনির হোসেন বলেন, সরকার সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আরেক যাত্রী নাম প্রকাশ না করেই বলেন, দোকান-পাট খুলবো তাই গিয়েছিলাম। পরিবেশ নাই তাই বাড়ি ফিরলাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + fourteen =

Back to top button