শুরু হচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা নামবে ৬-৮ ডিগ্রিতে!
এবারের শীত মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে ২/১ দিনের মধ্যেই, বলা হচ্ছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। এর ফলে পৌষের শুরুতেই প্রচন্ড শীত অনুভূত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ শনিবার দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি। কাল রোববার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। বুধবার থেকে দিনের পারদ কিছুটা বাড়তে পারে।
এদিন ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ১, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৬, চট্টগ্রামে ১৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৪, রংপুরে ১২ দশমিক ৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৪ ও বরিশালে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে দেশের দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, অবশিষ্টাংশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, তাতে ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে। মাসটিতে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও দিন-রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।
তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা নামবে ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ৬-৮ ডিগ্রিতে নামতে পারে।
বরাবরের মতোই হিমেল বাতাসে শীতের প্রকোপ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সকাল-বিকালের কুয়াশাচ্ছন্নতা একই রকম থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে বেলা বাড়ার পর। ফলে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীতের কাঁপন থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে, যানবাহন চলছে বাতি জ্বালিয়ে। সব মিলিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে নিম্নআয়ের ও দিনমুজরদের।
হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় প্রতি বছরই দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পঞ্চগড়ে শীত নামে সবার আগে। একইভাবে অন্য জেলাগুলোর তুলনায় দেরিতে শীত বিদায় নেয় এই জেলায়। এর কারণ হচ্ছে, হিমালয় থেকে বয়ে আসা উত্তরী হিম বাতাস এই এলাকার ওপর দিয়ে প্রবেশ করে। এখানে তীব্রতা বাড়িয়ে শীত বিস্তৃত হয় গোটা দেশে।