জাতীয়

শেষ হলো ইসলামি বইমেলা; ইসলামি লেখক ফোরামের দশ প্রস্তাবনা

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের আয়োজনে প্রতিবছর বায়তুল মোকাররাম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইসলামি বইমেলা’। এ বছরের মেলা উদ্বোধন করা হয় বিগত ১৯ অক্টোবর।

মেলাটি ৩ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ক্রেতা, বিক্রেতা ও প্রকাশকদের ব্যাপক চাহিদার কারণে সময় বাড়ানো হয় ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। গতকাল ছিল মেলার শেষ দিন।

বায়তুল মোকাররাম মসজিদের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত এই বইমেলায় মোট ৩২টি প্রতিষ্ঠানের দেয়া ৬৩টি স্টলে বেচাকেনা চলে। সময় ছিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

শুরুর দিকে খুব বেশি প্রচার প্রচারণা এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতি না থাকলেও শেষ সময়ে বিভিন্ন ইসলামি ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ও প্রচারণায় বেশ জমে ওঠে মেলাটি, যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই! ঢাকা ছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে মেলায় এসে যোগ দিয়েছেন বইপ্রেমীরা।

এ বছর ইসলামি বইমেলা নিয়ে পাঠক, প্রকাশক ও দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস দেখে মেলা বিষয়ে ১০টি প্রস্তাবনার কথা জানিয়েছে তরুণ লেখকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরাম।

প্রস্তাবনাগুলো হলো–

১. ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ইসলামি বইমেলা পুরো রবিউল আউয়াল মাসব্যাপী আয়োজন করা।
২. মেলার স্থান-পরিধি আরো সম্প্রসারিত করা।
৩. ইসলামি ধারার যত অভিজাত ও প্রসিদ্ধ প্রকাশনী আছে সবগুলোকে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া।
৪. মেলা চত্বরে লেখক কর্নার বা লেখক মঞ্চ রাখা।
৫. নতুন প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক ও পাঠ উন্মোচনের জন্য জায়গা রাখা।
৬. শিশুতোষ বইয়ের আলাদা কর্নারের ব্যবস্থা
৭. সপ্তাহের অন্তত এক দিন শুধু নারী ও শিশুদের জন্য নির্ধারণ করা। (সেদিন মাহরাম পুরুষদের নিয়ে নারীরা মেলায় আসবেন)।
৮. মেলার প্রচার-প্রচারণায় কর্তৃপক্ষ আরো জোরাল ভূমিকা পালন করা।
৯. মিডিয়া সেলের ব্যবস্থা রাখা।
১০. তথ্য কেন্দ্র রাখা।

গত ৫ নভেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যায় মেলা চত্বর থেকে এক ফেসবুক লাইভে লেখক ফোরাম কর্তৃপক্ষ এ প্রস্তাবনার কথা জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − 5 =

Back to top button