ভাইরাল

শ্বশুরবাড়ি থেকে বাইক পাচ্ছেন ফারহানা আফরোজ

গায়ে হলুদের দিন বাইক র‌্যালি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নববধূ ফারহানা আফরোজ এবার শ্বশুরের কাছ থেকে মোটরসাইকেল উপহার পাচ্ছেন।

এর আগে ১৪ আগস্ট পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যশোর শহরের সার্কিট হাউজ এলাকার মেয়ে ফারহানা আফরোজ। এর আগের দিন ১৩ আগস্ট ছিল ফারহানার গায়ে হলুদ।

ফারহানা আফরোজ বলেন, সবাই নেচে-গেয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছি। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি তাই বাইক চালিয়ে অনুষ্ঠান করেছি। ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন। এটি আমার নিজস্ব উদ্যোগে করেছি। অনেক আনন্দ করেছি বন্ধু-বান্ধব ও সাথীরা।

যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন ফারহানা। এখন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে এইচআর-এ এমবিএ করছেন ফারহানা।

তিনি আরো বলেন, ২০০৭ সাল থেকে বাইক চালাই। মূলত বাড়িতে সাইকেল ও প্রাইভেটকার চালানো শেখা হয় ছোটবেলাতেই। বাবার মোটরসাইকেলটিও চালানোর একটা ঝোঁক ছিল। তাই বাবার অজান্তেই কোন প্রশিক্ষক ছাড়াই মোটরসাইকেল চালানো শিখি। ২০১৩ সালে ঢাকায় আসার পর বন্ধুদের বাইকে হাত পাকাই। এরপর নিজে স্কুটি কিনি। ওই স্কুটিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করি।

ফারহানা আরো বলেন, বাইক র‌্যালির ছবি ফেসবুকে আসার পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তা স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। তারা আমার বাইক চালানোর বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। ফলে তারা ছবি ও ভিডিও দেখে বেশ আনন্দ করেছে। কিন্তু নেটিজানরা বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারছে না। তারা আমার চারিত্রিক সনদ দিচ্ছেন। এটা আমি মানতে পারছি না। যে কারণে ছবি ভাইরাল হবার পর আমি নিজেই বাইক র‌্যালির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করি।

তিনি আরো বলেন, সুযোগ পেলে আমি হেলিকপ্টার চালানোও শিখতাম। আমি সবকিছুই চালানো শিখতাম। স্বামীর পক্ষ থেকেও কোনপ্রকার আপত্তি নেই।

তবে তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ফারহানা তাকে সংবাদমাধ্যমে না টানার জন্য অনুরোধ করেন। তার স্বামী হাসনাইন রাফি বর্তমানে ঢাকার গাজীপুরে কর্মরত। ফারহানাও শিগগিরই ঢাকা যাবেন। এবং শ্বশুরের প্রতিশ্রুত মোটরবাইকটি ঢাকা থেকেই কিনবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 + fifteen =

Back to top button