সঙ্গী পেল বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের নীলগাই
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে থাকা বিলুপ্ত প্রজাতির মাদী নীলগাইটির অবশেষে একাকিত্বের অবসান ঘটল। বুধবার দুপুরে আরেকটি পুরুষ নীলগাই অবমুক্ত করা হয়েছে পার্কে। এ নীলগাইটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যান থেকে আনা হয়েছে বলে পার্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, দুপুরে বিশেষ বাক্সে অচেতন করা ছাড়াই নিরাপদে নীলগাইটিকে সাফারি পার্কে আনা হয়। তিনি জানান, প্রজননের উদ্দেশ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে পুরুষ নীলগাইটিকে এ পার্কে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য তা বিলম্ব হয়।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাদি নীলগাইটি এ পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের মাসুদপুর ঠুঠাপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে। সেখানে পদ্মা নদীর পারে কাঁদায় আটকে ছিল নীলগাইটি। উদ্ধারের পর থেকে এ পর্যন্ত সঙ্গীবিহীন ছিল এটি।
এদিকে আজ অবমুক্ত করা পুরুষ নীলগাইটি গত ২২ জানুয়ারি নওগাঁর মান্দা উপজেলার জোতবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। উদ্ধারের পর রাজশাহীর বন্য প্রাণী উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র হয়ে রামসাগর জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় নেওয়া হয়।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, সেখান থেকে ওই নীলগাইটকে আনার পর দুপুরেই মাদি নীলগাইটির সঙ্গে রাখা হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত নতুন আসা নীলগাই ওই নীলগাইটির কাছাকাছি অবস্থান করছে। তিনি জানান, প্রজননের উদ্দেশ্যে ২টি নীলগাই একসঙ্গে রাখা হলো।
তবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতির নীলগাই অনেক আগেই আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লাল খাতায় নাম লিখিয়েছে। চলতি বছরে দুই জায়গা থেকে মাদি ও মর্দা নীলগাই উদ্ধারের পর অবশেষে একসঙ্গে রাখা হলো তাদের।