জাতীয়

সমবেত প্রচেষ্টায় সুরক্ষিত রাখতে হবে দেশের বন ও জীববৈচিত্র্য: পরিবেশমন্ত্রী

বন ও জীববৈচিত্র্য প্রতিবেশ ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বন ও বন্যপ্রাণী ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরিবেশ, প্রতিবেশ ব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্যের ওপর নেমে আসে বিপর্যয়। আর  জীববৈচিত্র্যের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হলে মানুষের অস্তিত্বের ওপর আসে আঘাত। তাই সমবেত প্রচেষ্টায় সুরক্ষিত রাখতে হবে দেশের বন ও জীববৈচিত্র্য বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

শুক্রবার (২২ মে) বন অধিদফতরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় পরিবেশমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন,  ‘জীববৈচিত্র্য হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রয়োজনে ধ্বংস হচ্ছে বন-বনানী। সেইসঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচুর্যময় স্থলজ ও জলজ জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার। তাই এখনই উপযুক্ত সময় এই প্রাচুর্য হারিয়ে ফেলার আগেই তা রক্ষায় একযোগে কাজ করার।’

প্রসঙ্গত, এবারের আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস-২০২০ এর প্রতিপাদ্য ‘প্রকৃতিতেই রয়েছে আমাদের সমাধান’।

বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো.আমির হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন  বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিক আহাম্মদসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

সভায় পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বনাঞ্চলগুলো, অভ্যন্তরীণ জলাভূমিগুলো এবং বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিপুল জীববৈচিত্র্যের সমাহার।’ তিনি৷ বলেন,  ‘অত্যধিক জনসংখ্যার চাপ, প্রাকৃতিক সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, বন উজাড়, বন্যপ্রাণির আবাসস্থল ধ্বংস, দূষণ, বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যার ফলে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মুখে। একসময় বাংলাদেশের প্রায় ১৭টি জেলায় বাঘ ছিল। কিন্তু বর্তমানে শুধুমাত্র সুন্দরবনে বাঘ সীমাবদ্ধ রয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর নেমে আসা বিপর্যয় মোকাবিলায় আমাদের সরকার বদ্ধ পরিকর।’

তিনি বলেন, ‘সহযোগিতামূলক বন ব্যবস্থাপনা এবং বননির্ভর মানুষের বিকল্প আয়ের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বনের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 2 =

Back to top button