প্রতিটি দেশের সাথে সম্পর্ক এবং সহযোগিতার মাধ্যমেই করোনা মহামারী মোকাবেলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের ৭৫তম সাধারণ অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী এবং বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব করছে।
অধিবেশনে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও সুস্পষ্টভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকলের কাছে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য ও বাস্তবসম্মত’ রোডম্যাপ তৈরির জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘকে দুর্বল করে এমন কোন ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন দেয়া উচিৎ নয়। আমরা এটা পূর্ববর্তীদের কাছ থেকে পেয়েছি। এজন্য তাদের কাছে আমরা ঋণী এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদেরও জাতিসংঘকে একটি সত্যিকার অর্থে সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক কার্যকরী সংস্থায় পরিণত করতে হবে।
বৈশ্বিক প্রাণঘাতি মহামারী কোভিড-১৯ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই মহামারী আমাদের ২০৩০ এজেন্ডার লক্ষ্য অর্জনকে আরো কঠিন করে দিয়েছে। চলমান মহামারীসহ বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ ধরনের সংকট মোকাবেলার অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। এই মহামারী দেখিয়ে দিয়েছে যে উন্নত ও উন্নয়নশীল উভয় দেশেরই পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে জাতিসংঘকে এখন বেশি প্রয়োজন।
জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্বনেতারা প্রথমবারের মতো বিশ্বের শীর্ষ প্ল্যাটফর্মের বার্ষিক উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে ভার্চুয়ালি মিলিত হয়েছেন।
জাতিসংঘের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে ইউএনজিএ’র উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সময় মঙ্গলবার ভোর ৪টায় ভাষণ দেন।
সাধারণ বিতর্ক এবং উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশন ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও পাঁচটি পার্শ্ব-অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন এবং বক্তৃতা দেবেন।