ক্রিকেটখেলাধুলা

সর্বনিম্ম রানের সেরা দশে ভারত

প্রথম টেস্ট খেলে দেশে ফিরবেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। প্রথম সন্তানের মুখ দেখবেন বলে স্ত্রীর পাশে থাকতে ছুটি নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার আগেই এক বিব্রতকর রেকর্ডকে সঙ্গী করে প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে হচ্ছে তাকে। কোহলি এখন সন্তানের প্রতীক্ষা করবেন নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম বড় বিব্রতকর ঘটনার সাক্ষী হয়েই।

একে তো কোহলির দেশে ফেরা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। সুযোগ পেলেই তার পূর্বসূরীরা তাকে দুএক কথা শুনিয়ে দিচ্ছেন। তার ওপর নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান করে গুটিয়ে যাওয়ার এই রেকর্ডের পর এই আলোচনার মাত্রা যে আরও বাড়বে, সেটা না বলে দিলেও চলছে।

অ্যাডিলেড টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে ভারত। এত কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার ইতিহাস তাদের কখনোই ছিল না। কিন্তু সব দল মিলিয়ে সর্বনিম্ন রানের তালিকায় কোহলির দলের অবস্থান কত নম্বরে?

জানা গেল, এর চেয়ে মাত্র কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার উদাহরণ আছে মাত্র ছবার। চাইলে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে একটু সান্ত্বনা পেতে পারেন কোহলিরা, এই ছবারের চার কীর্তি তাদেরই। কালকে ভারতকে ধসিয়ে দেওয়া অস্ট্রেলিয়াও এই তালিকায় আছে ভারতের ঠিক আগে। কিন্তু সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ারই প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ড।

১৯৫৫ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের অকল্যান্ডের মাটিতেই ২৬ রানে শেষ হয়ে যায় কিউইরা। বব অ্যাপলইয়ার্ড, জনি ওয়ার্ডল, ফ্র্যাঙ্ক টাইসন ও ব্রায়ান স্ট্যাথামের তোপে টিকতেই পারেননি বার্ট স্যাটক্লিফের মতো ব্যাটসম্যানেরা।

এর পরে সবচেয়ে কম রানে গুটিয়ে যাওয়ার টানা চার কীর্তি আছে দক্ষিণ আফ্রিকার, যার তিনটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিজেদের মাঠ পোর্ট এলিজাবেথে ৩০ রানে, ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম টেস্টে ৩০ রানে, ও কেপটাউনে ৩৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্নে ৩৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার নজিরও আছে তাদের। তালিকার পরের নামটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ারই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বার্মিংহামে ১৯০২ সালে ৩৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানরা।

তালিকায় ঠিক এর পরেই জায়গা হয়েছে ভারতের। তবে যে বাংলাদেশ টেস্ট পরিবারের অন্যতম ‘দুর্বল’ দল হিসেবে পরিচিত, যে বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় বিস্তর সমালোচনা, সেই বাংলাদেশ এই তালিকায় কিছুটা স্বস্তিই পেতে পারে। লজ্জার এই তালিকার শীর্ষ দশে অন্তত নেই সাকিব-তামিম-মাশরাফিরা।

বাংলাদেশের সর্বনিম্ন টেস্ট ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, অ্যান্টিগার নর্থ সাউন্ডে স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেই ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব-তামিমরা। টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের তালিকায় যার অবস্থান এখন ১৩ নম্বরে। সেদিন একাই লড়ে গিয়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস, করেছিলেন ২৫ রান। বাংলাদেশের কাছে যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন কেমার রোচ। মাত্র ৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। মিগুয়েল কামিন্স ও জেসন হোল্ডাররাও যন্ত্রণা দিয়েছিলেন বেশ। সে টেস্টে ইনিংস ও ২১৯ রানে হেরে বসে বাংলাদেশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + eighteen =

Back to top button