সর্বাত্মক লকডাউনেও ঢাকার সড়কগুলোতে যানজট
সরকার ঘোষিত দ্বিতীয় দফায় সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এর মধ্যেই রাজধানীতে মানুষের চলাচল অনেক বেড়ে গেছে। রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে যানজট লেগে ছিল। গণপরিবহণ ছাড়া সবই আছে সড়কে।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, সকাল থেকেই রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, শাহবাগ, বাড্ডা এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনপি চালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচলের কারণে এই যানজট তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল বেশি।
অন্যদিনের তুলনায় আজ ঢাকায় কোলাহল একটু বেশিই ছিল। অলিগলিতে বেশ কিছু দোকানপাটও খুলতে দেখা গেছে।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, লোকজন মনে করছেন ঈদুল আজহা আসন্ন, তাই লকডাউন শিথিল হতে পারে। এমন ধারণা থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমেছে।
বেলা ১১ টার দিকে ফার্মগেট মোড়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সাব্বির বলেন, বনানী থেকে এখানে আসতে এক ঘণ্টা লেগে গেছে। লকডাউন শিথিল হতে পারে জেনে লোকজন বেরিয়ে গেছে।
রাজীব নামে এক রিকশাচালক কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে বলেন, রাস্তায় যানজটের কারণে পান্থপথ থেকে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার পর্যন্ত আসতে ৪৫ মিনিট লেগেছে। অন্য সময় এর অর্ধেকের কম সময় লাগে।
কারওয়ান বাজারে দায়িত্বরত সার্জেন্ট রেজাউল করিম বলেন, ‘যানজটের কারণ হলো লোকজন নাকি শুনেছে সামনে লকডাউন শিথিল হবে। এই উল্লাসে তারা বাইরে বের হচ্ছেন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। দেখেন, সবাই নেমে গেছে। এখন এত গাড়ির বিরুদ্ধে কি কড়া ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব?
২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। আর চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত আছে। করোনার ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও এরপর বিধিনিষেধ বাড়বে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আজ কিংবা কালকের মধ্যে জানা যাবে। লোকজনের ধারণা কোরবানির ঈদ, তাই পশু কেনার সুযোগ দেবে সরকার। এ কারণে লকডাউন উঠে যেতে পারে।