Lead Newsক্রিকেটখেলাধুলা

সাকিবকে ছাড়া টাইগারদের ৩৬ ম্যাচ

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট আকসুর রায় অনুযায়ী আগামী ১২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন সাকিব আল হাসান। এই এক বছরে আকসুকে সন্তুষ্ট করতে পারলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে আবারও খেলায় ফিরতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে কমপক্ষে ১৩টি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিস করবেন সাকিব।

নিষেধাজ্ঞার শুরুতেই ভারত সফর মিস করছেন সাকিব। আজ বুধবার সাকিবকে ছাড়া ভারতের বিপক্ষে খেলতে দেশ ছাড়বে টাইগাররা। যে সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।

ভারতের পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ভেন্যু না ঠিক হলেও সে সিরিজে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে টাইগরারা।

এর পর দেশের মাটিতে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজে নিজেদের মাঠে অতিথিদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে স্বাগতিকরা। পরের মাসে জিম্বাবুয়ে আসবে বাংলাদেশ সফরে। সে সিরিজে একটি টেস্ট ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা।

এরপরই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘরের মাটিতে ক্রিকেট উদযাপন করবে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের ১৮ থেকে ২১ মার্চের মধ্যে অল স্টার এশিয়া ও বিশ্ব একাদশ দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশে। সাকিব মিস করতে যাচ্ছেন সে উদযাপনও।

ঘরের মাঠে ক্রিকেট উৎসবের পর আয়ারল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ। সফরে একটি টেস্টের পর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে লাল-সবুজের দল। আয়ারল্যান্ড থেকে ফিরে শ্রীলঙ্কায় যাবে বাংলাদেশ। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলবে তিনটি টেস্ট। এরপর আগস্টে দুই টেস্টের জন্য নিউজিল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ।

সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি এবং নিউজিল্যান্ডে ঝটিকা সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এর পর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ। ১৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মৌসুমের মধ্যেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফিরবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

জুয়াড়িদের প্রস্তাব গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। অবশ্য ভুল স্বীকার করায় সাজার মেয়াদ এক বছর কমেছে। সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসের মধ্যে তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান সাকিব। কিন্তু একবারও তা বিসিবি বা আইসিসিকে জানাননি তিনি। এই না জানানোই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলাফল নিষেধাজ্ঞা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen + one =

Back to top button