‘সীমিত পরিসরে’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি
শিক্ষক সমিতি মনে করে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিনের জন্য হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দরকার। তাহলে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট বুঝতে সুবিধা হবে। পরিস্থিতি বুঝে এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ক্লাস চালু করা যেতে পারে বলে মনে করছে “বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি”।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস)।
শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফোরামের মুখপাত্র নজরুল ইসলাম রনি এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আতিকুর রহমান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার এ দাবি জানানো হয়।
শিক্ষক সমিতি জানিয়েছে, বর্তমানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট আদান-প্রদান চলছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট ভালোভাবে বুঝতে পারছে না।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিনের জন্য হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে অ্যাসাইনমেন্ট বুঝতে সুবিধা হবে। পরিস্থিতি বুঝে এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ক্লাস চালু করা যেতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বন্ধ আছে স্টেশনারি, লাইব্রেরিসহ অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরাও শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। সব মিলিয়ে করোনাকালে চরম অর্থসংকটে আছেন অভিভাবকরা। তারা স্কুল-কলেজের মাসিক টিউশন ফি পরিশোধ করতে পারছেন না। সে কারণে শিক্ষক-কর্মচারীরাও পাচ্ছেন না বেতন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফজর আলী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. মনসুর ইকবাল, সিনিয়র সহসভাপতি মোহসিন আলী, সহসভাপতি আব্দুর রহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কালাম খান ও তানিয়া আখতার, সহকারী মহাসচিব ঝর্ণা বিশ্বাস, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তারসহ শিক্ষক নেতারা।