সুনির্দিষ্ট নকশা করে দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লকডাউন কার্যকর: তাপস
এলাকাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট নকশা চিহ্নিত করে দেওয়ার পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, এলাকাকে সুনির্দিষ্ট করতে তাদের আরও দুই-তিন দিন লাগবে। যেদিন আমরা তাদের থেকে এলাকার চিহ্নিত অংশ পাব, তারপর অন্তত ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর করতে পারব।’
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগর ভবনে এ সভা হয়।
তাপস বলেন, ‘আমাকে যদি জানানো হয়, আগামীকাল এই এলাকা লকডাউন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তাহলে আগামীকাল থেকে ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা কার্যকর করতে পারব।’
দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই আমরা আজ সভা করেছি। প্রাথমিকভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কার্যপরিধিগুলো বুঝে নিয়েছি। আমরা আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে এলাকাগুলো চিহ্নিত হলেই কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমাদের সামগ্রিকভাবে ২৮টি এলাকার কথা জানানো হয়েছে। সেই এলাকাগুলো অনেক বড়। আমরা বিষয়টি তাদেরও (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) জানিয়েছি। তারাও বিষয়টি অনুধাবন করেছেন। আমরা চাই, যারা শুধু সংক্রমিত তাদের এর আওতায় আনা। বাকিদের জীবন ও জীবিকা যাতে স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। কারণ, একটি ওয়ার্ড অনেক বড়। সরকারও চায় না সব এলাকা এর আওতায় আসুক।’
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আমরা সবাই অনুধাবন করেছি এটা একটা সংক্রামক ব্যাধি। আমাদের অনেক আপনজন গণ্যমান্য ব্যক্তি এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আমরা কিন্তু কিছুই করতে পারছি না। আমরা এতটুকু করতে পারি যে আগামী ১৪ থেকে ২১ দিন একটু কষ্ট সাধন করে হলেও নিজে নিরাপদ থাকব এবং অন্যকে নিরাপদে রাখব। এই কষ্টটা করা ছাড়া মহামারি থেকে পরিত্রাণের উপায় নেই।’
তাপস বলেন, ‘আমি জানি এই লকডাউনে অনেকের কষ্ট হবে, অনেকের অসুবিধা হবে। কিন্তু এই ব্যক্তিগত অসুবিধা কষ্টগুলোকে গ্রহণ করে নেবেন। এর থেকে মুক্ত হওয়ার উপায় সহজ নয়। আমাদের সবাইকে কষ্ট করতে হবে।’
সমন্বয় সভায় এটুআইয়ের পলিসি এডভাইজার আনির চৌধুরী ও আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা এ সময় অনলাইনে সভায় সংযুক্ত হয়ে রেড জোন-সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার, লালবাগের ডিসি, ঢাকা জেলার সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।