“সেবায় যদি একটি রোগী সুস্থ হয়ে উঠে তা আমাদের কাছে ঈদের আনন্দের মতো”
অন্য সময় পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের সময়টা কাটলেও এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। হাসপাতালে রোগীর সেবাতেই কাটছে ঈদ। বিশ্বব্যাপি তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতির কারণে সব কিছুই থমকে গেছে। ম্লান হয়েছে সব আয়োজন। এ পরিস্থিতিতে সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মাত্র কয়েকদিন আগে চিকিৎসক হিসেবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যোগদান করেছেন কামরুল হাসান মুরাদ। কাজ করছেন করোনা ওয়ার্ডে। দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার কারণে এবার ভিন্ন আবহে ঈদ উদযাপন করছেন তিনি।
ঈদের দিন সোমবার (২৫ মে) চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুল হাসান মুরাদ বলেন, রোগী নিয়েই আমাদের ঈদ। আমাদের সেবায় যদি একটি রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে পারে তা আমাদের কাছে ঈদের আনন্দের মতো। তবুও এমন একটি দিনে পরিবারকে কাছে না পাওয়ার কষ্ট তো রয়েছেই। সবার কাছে অনুরোধ থাকবে- বাসায় থেকে ঈদ উদযাপন করুন।
শুধু চিকিৎসক নন, করোনাযুদ্ধের সহযোদ্ধা হিসেবে রয়েছেন নার্স এবং অফিস সহকারীরা। করোনার চিকিৎসা দেওয়া জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চমেকহা কিংবা ফিল্ড হাসপাতাল- সব জায়গায় একই চিত্র।
বিআইটিআইডিতে করোনা ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র নার্স তানজিমা চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদ সবার জন্য নয়। আমাদের অনেক সহকর্মী করোনায় আক্রান্ত। তাদের কথা ভেবে একটু মন খারাপ। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম কিছু মানুষ নিজের প্রচারে ব্যস্ত। কিছুক্ষণ পর পর খাবারের ছবি, নতুন পোশাকের ছবি দিচ্ছে। আসলে নিজের মুখ দেখাতে গিয়ে অন্যকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, অনেকে তার প্রিয়জনকে হারিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে না খেয়ে আছে। এর মধ্যেও কেউ কেউ উৎসবের আমেজে আছেন। যতদিন পর্যন্ত নিজের কারও রোগ না হবে, ততদিন পর্যন্ত উপলব্ধি আসবে না।
সূত্রঃ বাংলানিউজ