আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার কোয়ারেন্টাইন বিধি মানেননি, তাই ম্যাচ শুরু হওয়ার পর হস্তক্ষেপ করেন ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তুমুল গন্ডগোল দেখা দেয় মাঠে।
শেষ পর্যন্ত স্থগিতই ঘোষণা করা হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
ম্যাচ বন্ধ হওয়ার পর এক পর্যায়ে আর্জেন্টাইন ফটবল তারকা লিওনেল মেসিকে সঙ্গে নিয়ে ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে ঢুকতে দেখা যায় ব্রাজিলের দানি আলভেজকে। মেসি মাঠে ঢুকে ‘বন্ধু’ নেইমারের সঙ্গেও অনেকক্ষণ কথা বলেন।
এমনকি ব্রাজিলের ফুটবলাররাও ম্যাচটি শেষ করতে চেয়েছিলেন। আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা ড্রেসিংরুমে ফেরত যাওয়ার পরও তারা অনেকটা সময় পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। কিন্তু সমস্যার সুরাহা হয়নি।
এ সময় লিওনেল মেসি টেলিভিশন লাইভে হতাশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ”আমরা তিনদিন আগে এসেছি (ব্রাজিলে)। তারা তো তখনই আমাদের বিদায় করে দিতে পারতো। এটা আসলেই খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি স্থগিত, নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন ‘কনমেবল’। কিন্তু এখনও বাতিল ঘোষণা করা হয়নি ম্যাচ। রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছে, সিদ্ধান্ত এখন তারাই নেবে।
ম্যাচ বাতিল হলেও পূর্ণ পয়েন্ট পাবে আর্জেন্টিনা!
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি স্থগিত, নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল ফেডারেশন ‘কনমেবল’। কিন্তু এখনও বাতিল ঘোষণা করা হয়নি ম্যাচ।
তবে যদি ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কনমেবলের নিয়ম ব্রাজিলের পক্ষে না আসারই কথা। দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের শৃঙ্খলাবিধির ৭৪ নম্বর ধারায় স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা আছে, ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে খেলা থামিয়ে খেলোয়াড়দের ম্যাচ খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া যাবে না। খেলতে বাঁধা দেওয়া যাবে না।
খেলোয়াড় সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে সেটা মেটাতে হবে ম্যাচ শুরুর আগে বা পরে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে অবশ্যই নয়। এমনটি হলে যে দলের কারণে ম্যাচ থেমে যাবে, সে দল তিন পয়েন্ট হারাবে। প্রতিপক্ষ দল পাবে সেই তিন পয়েন্ট।
সেই হিসেবে ম্যাচের মাঝপথে ব্রাজিলিয়ান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ হস্তক্ষেপ করায় প্রতিপক্ষ হিসেবে আর্জেন্টিনারই পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়ার কথা। আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম ’মুন্দো আলবিসেলেস্তে’ও জানিয়েছে এমন তথ্য।
যদিও এখনও কনমেবলের পক্ষ থেকে পয়েন্টের ব্যাপারটি নিয়ে স্পষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি। কনমেবল জানিয়েছে, ম্যাচ রেফারি ও কমিশনার এই ম্যাচের রিপোর্ট জমা দেবেন ফিফার শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির কাছে। তারপর ফিফাই সিদ্ধান্ত নেবে।