১০ই সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ট্রেনের বন্ধ স্টেশনগুলো। ১২ই সেপ্টেম্বর খুলবে টিকিট কাউন্টার। অনলাইনের পাশাপাশি কাউন্টারেও পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট।
বর্তমানে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসনসংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে এই ৫০ শতাংশের অর্ধেক অনলাইনে আর বাকি অর্ধেক কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। অনলাইন ও কাউন্টার থেকে ৫ দিন পরের পর্যন্ত টিকিট পাওয়া যাবে।
সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (টিসি) মো. নাহিদ হাসান খাঁন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, কোনো স্টেশনের অনুকূলে কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণীতে বর্তমান নিয়মে বিক্রয়কৃত মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিটের সংখ্যা ৬টির বেশি হলে কাউন্টার, অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। টিকিটের সংখ্যা অনধিক ৬টি হলে তা শুধু অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে ইস্যু করা যাবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুকূলে সংরক্ষিত থাকা ২ শতাংশ আসন বাদ দিয়ে হিসাব করতে হবে।
কাউন্টার ও অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইল কোটায় অবিক্রিত টিকিট যাত্রার ১২০ ঘণ্টা আগে যে কোনো মাধ্যম থেকে ইস্যু করা যাবে।
সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে মাধ্যমে এবং বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে অ্যাপ, অনলাইন ও মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা যাবে।
নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত মার্চের শেষে ট্রেন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৩১ মে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
৫ সেপ্টেম্বর থেকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি-নিষেধেরর কিছু বিষয় শিথিল করে চলাচল করছে যাত্রীবাহী রেল। সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হওয়ায় মোট ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।