২০ ভরি স্বর্ণ ও ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় জিনের বাদশা!
টার্গেট করে দুর্বল মনোবলের মানুষকে ধরে ধর্মীয় উপদেশমূলক কথাবার্তা বলে লাখ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয় জিনের বাদশা! কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি সেই প্রতারকদের, অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পরে শ্রীঘরে তারা।
রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এমনই তথ্য জানালেন জেলা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম।
জিনের বাদশা সেজে প্রতারক চক্রের আটক তিনজন হলেন- গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হযরত আলীর ছেলে মুন্নাফ সরকার (৩৬), একই জেলার রামনাথপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে তৌহিদ ইসলাম (২৩) এবং বোয়ালিয়া প্রধানপাড় এলাকার ধীরন্দ্র নাথের ছেলে শিবু চন্দ্র (৩৫)।
প্রতারক চক্রের এ তিন সদস্যকে শনিবার রাতে গাইবান্ধা ও নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা থেকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
পুলিশ সুপার জানান, প্রতারক চক্রটি চলতি বছরের ১৯-২৮ জুলাই নিজেদের জিনের বাদশা পরিচয়ে ফতুল্লার মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়, খবর ইউএনবি।
পরে ঘটনা জানার পর মনোয়ারা বেগমের ছেলে ডা. মো. মাহমুদুল ইসলাম ১০ অক্টোবর বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
প্রতারকেরা মনোয়ারা বেগমকে ধর্মীয় উপদেশমূলক কথাবার্তা বলে ফাঁদে ফেলে টাকা ও স্বর্ণ হাতিয়ে নেয় জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, আসামিদের ধরতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার গোবিন্দগঞ্জের মদন এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে মুন্নাফকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপজেলা শহরের শিবা জুয়েলার্স থেকে শিবু চন্দ্র নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিবুর কাছ থেকে গলানো অবস্থায় ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরে মুন্নাফ ও শিবুর দেয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর থেকে তৌহিদকে আটক করা হয়।
পুলিশের ভাষ্য, এ প্রতারক চক্রটি ২০০ নারীকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছিল। যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছে।