শিল্প ও বাণিজ্য

২৯ টাকা ভ্যাট দিয়ে পেলেন ১০ হাজার টাকা পুরস্কার!

মাত্র ২৯ টাকা ৪০ পয়সা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দিয়ে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার জিতেছেন মিরপুরের বাসিন্দা রনি হোসেন। তিনি মোহাম্মদপুর গ্রাফিকস ডিজাইন ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আজ সোমবার তিনি পুরস্কারের চেক হাতে পান রনি।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসে রনি হোসেন প্রিন্স সুইটস অ্যান্ড বেকারির একটি শাখা থেকে ১৯৫ টাকার খাবার কেনেন। এ জন্য তিনি সরকারি কোষাগারে ২৯ টাকা ৪০ পয়সা ভ্যাট দেন। বিক্রেতা ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (এএমডি) বা ভ্যাট মেশিনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির রসিদ দেন।

গত জানুয়ারি মাসে সারা দেশে ইএফডির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির রসিদ নম্বরের ভিত্তিতে ৫ ফেব্রুয়ারি লটারি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই লটারির আয়োজন করে। ওই লটারিতে একজন ভাগ্যবান বিজয়ী হয়েছেন রনি হোসেন। তিনি ১০ হাজার টাকা মূল্যের পুরস্কার জিতে নেন। সব মিলিয়ে খরচ হলো ২২৪ টাকা ৪০ পয়সা। মাস শেষে তিনি পেলেন ১০ হাজার টাকা।

আজ সোমবার রনি হোসেনের হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন ঢাকা পশ্চিম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কার্যালয়ের কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান। ওই কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এএমডি চালানের মাধ্যমে পণ্য কেনায় উৎসাহিত করতে এনবিআর এখন থেকে প্রতি মাসে লটারির আয়োজন করবে। প্রথম লটারি অনুষ্ঠিত হলো ৫ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে বিজয়ী ১০১ জনের ভ্যাটের রসিদ নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। পুরস্কারের টাকা পেতে বিজয়ীরা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করা শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে রনি হোসেন তাঁর পুরস্কারের টাকা নিলেন।

প্রতি মাসের এএমডি চালানের নম্বরগুলো দিয়ে এই লটারি অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ী ১০১ জনকে নগদ অর্থ পুরস্কার পাবেন। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬০০টি প্রতিষ্ঠানে এএমডি মেশিন বসানো হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার মেশিন বসানো হবে।

প্রতি মাসে এই পুরুষ্কারের জন্য বিবেচিত হবে ১০১ জন

প্রতি মাসে ১০১ জন লটারিতে পুরস্কার পাবেন। প্রথম পুরস্কারের পরিমাণ এক লাখ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৫০ হাজার টাকা। তৃতীয় পুরস্কার সংখ্যা পাঁচটি। পাঁচজন বিজয়ী ২৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার পাবেন। বিজয়ী বাকি ৯৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।

এএমডি মেশিন বা ভ্যাটের মেশিন আছে, এমন দোকান থেকে পণ্য বা সেবা কিনলেই শুধু লটারির জন্য বিবেচনা করা হবে। পাকা রসিদ হতে হবে, কাঁচা বা দুই নম্বরি রসিদ হলে হবে না। ভ্যাট মেশিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে যে রসিদ দেবে, সেই রসিদের নম্বর ধরেই লটারি হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 5 =

Back to top button