৬-৯ বছর বাড়তি বাণিজ্য সুবিধা চাচ্ছে বাংলাদেশ
আগামী ৩০ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় শুরু হচ্ছে ৪ দিনব্যাপী বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার, ডব্লিউটিও, মন্ত্রিপর্যায়ের সম্মেলন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে ৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এই সম্মেলনে অংশ নেবে।
এই সম্মেলনকে ঘিরে বাংলাদেশের চাওয়া হল— স্বল্পোন্নত দেশের, এলডিসি, তালিকা থেকে বের হওয়ার পরও যেন আরও ৬ থেকে ৯ বছর উন্নত দেশগুলো থেকে আগের মতোই বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যায়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনার মহামারির কারণে ডব্লিউটিওর পক্ষ থেকে সীমিত সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করার কথা বলায় মাত্র ৪ সদস্যের প্রতিনিধি যাচ্ছে সম্মেলনে। প্রতিনিধি দলে অন্য যারা থাকছেন তারা হলেন— ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি।
ডব্লিউটিওর সম্মেলন উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এবং আশা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি শেষ হবে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হবে। তবে আমাদের চাওয়া হল, এরপরও যেন ৬ থেকে ৯ বছর বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা সম্মেলনে সোচ্চার থাকব। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্য যে দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশ হতে যাচ্ছে, সে রকম সকল দেশের জন্যই আমরা কথা বলব।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বাণিজ্য সুবিধার এই প্রসঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশ ডব্লিউটিওর সংস্কার, ই-কমার্স, বিনিয়োগ, কৃষি ভর্তুকি এবং সেবা খাতে এলডিসির জন্য অগ্রাধিকার নিয়েও নিজস্ব অবস্থান তুলে ধরবে। একই সঙ্গে এলডিসি থেকে বের হওয়ার পরও বাংলাদেশ নতুন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সুবিধা আদায়ের বিষয়ে নেতৃত্ব দেবে।
প্রসঙ্গত, ডব্লিউটিওর নীতি অনুসারে কোনো দেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর সাধারণত আর অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পায় না। এ বিষয়ে আফ্রিকার দেশ চাদ জাতিসংঘের এই অঙ্গ সংস্থাটিতে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এতে কোনো দেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী ১২ বছর একই বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়। তবে বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলো চাচ্ছে, এই সুবিধা যেন অন্তত ৬ থেকে ৯ বছর দেওয়া হয়।
জানা যায়, এ বছর সংস্থাটির মন্ত্রিপর্যায়ের দ্বাদশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এক সংক্ষেপে এমসি-১২ নামে অভিহিত করা হচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর সম্মেলনের উদ্বোধন। এরপরের দুই দিন হবে প্লেনারি অধিবেশন। আগামী ৩ ডিসেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠান। যেখানে বক্তব্য দেবেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রথম নারী মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজা ইওয়েলা।